ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারের আকমল আলীসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৮ মে ২০১৭

মৌলভীবাজারের আকমল আলীসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ৪ জুলাই সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও শেখ মোশফেক কবীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার। এই চার রাজাকার হলেনÑ আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আবদুর নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আবদুল মোছাব্বির মিয়া। এই চারজনই মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বাসিন্দা। প্রসিকিউটর শেখ মোশফেক কবির বলেন, এই চার আসামির বিরুদ্ধে ‘হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগ’ গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল। বিচার শুরুর দিন ৪ জুলাই সূচনা বক্তব্যের পাশাপাশি প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রস্তুতিও থাকবে। এর আগে দুই দফা পেছানোর পর গত ১৭ এপ্রিল এই চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ৭ মে দিন ঠিক করেছিলেন। গত বছরের ৩০ মে পলাতক তিনজনসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। তার আগে ২৩ মার্চ চার বিরুদ্ধে অভিযোগের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২ পরিবারের ১৩২ ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালের ২৬ নবেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই দিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বাকিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
×