ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করুন ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৮ মে ২০১৭

আহসান উল্লাহ মাস্টার  হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর  করুন ॥ মতিয়া

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর/নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই অবিলম্বে সকল নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে এই রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। তিনি রবিবার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ দাবি করেন। শহীদ আহসান উলাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আলহাজ এড. আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একই দিন বিকেলে টঙ্গীতে আহসান উল্লাহ মাস্টারের বাসভবনসংলগ্ন নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া স্কুল মাঠে অপর একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। গাজীপুর ২ আসনের সাবেক সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ সময় গুলিতে ওমর ফারুক রতন নামের আরও এক কিশোর মারা যায়। ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই মোঃ মতিউর রহমান বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন। এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদ-, ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন এবং দুইজনকে খালাস দেয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েক আসামি তাদের দ-াদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেন। শুনানি শেষে সর্বশেষ ২০১৬ সালের জুন মাসে উচ্চ আদালতের রায়ে ছয়জনের মৃত্যুদ-, ৮ জনের যাবজ্জীবন দ-াদেশ দেয়। রায়ে দ্রুত বিচার আদালতে মৃত্যুদ- অথবা যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছিল এমন ১১ জন আসামিকে খালাস দেয়া হয়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকার, মাহবুবুর রহমান ও সোহাগ এবং যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী ও নুরুল আমিন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। অপর মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের মধ্যেÑ নুরুল ইসলাম দিপু, তার ভাই শহীদুল ইসলাম শিপু, কানা হাফিজসহ বাকি দ-প্রাপ্তরা পলাতক রয়েছেন। আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মামলার বাদী মতিউর রহমান পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতার এবং আদালতের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
×