নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৭ মে ॥ পাবনায় এক ভারতীয় নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে আজব লাল যাদব নামের ভারতীয় নাগরিককে বিষক্রিয়াজনিত কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য একে এম হাসান হীরা জানান, শনিবার রাতে এক মহিলা এবং ৫ যুবক ওই লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মুখে গন্ধ এবং মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। ডাক্তার দেখার পরে তাদের রাজশাহীতে নেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু যারা তাকে নিয়ে এসেছিল তারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেই চলে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরানী জেলার বাসিন্দা যাদব ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবনার ঈশ্বরদীর রশিদ ওয়েল মিলে কর্মরত ছিলেন। সে সময় মিলের পার্শ্ববর্তী কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রশিদ ওয়েল মিল থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি অন্যত্র চাকরি নেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস আরও জানান, শনিবার রাতে কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে যান আজব লাল যাদব। রাতেই ওই বাড়ির লোকেরা তাকে বিষপান করেছে মর্মে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে যাদবকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মুত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরা রহমান জানান, শনিবার রাতে ঈশ্বরদী হাসপাতাল থেকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ভারতীয় নাগরিক যাদবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত বিষক্রিয়ার ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহ ও তার মেয়ে নাসিমা আকতারকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কালিকাপুর গ্রামের বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে ওই ভারতীয় নাগরিক বাড়ির মালিকের মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে এলাকায় কানাঘুষা রয়েছে। তিনি প্রচুর মদ খেতেন। কবে কীভাবে এবং কী কারণে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হলো তা রহস্যজনক বলছেন স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: