ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৫৬তম রবীন্দ্রজয়ন্তী আজ

দ্বারে আসি দিল ডাক... পঁচিশে বৈশাখ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৮ মে ২০১৭

দ্বারে আসি দিল ডাক... পঁচিশে বৈশাখ

মোরসালিন মিজান ॥ ওই শুনি যেন চরণধ্বনি রে,/শুনি আপন-মনে...। বছর ঘুরে আবারও এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কানে বাজছে চরণের ধ্বনি। বাঙালীর চিন্তা-চেতনার অত্যুজ্জ্বল আলোটি যেন নতুন করে জ্বলছে। বারে বারে পেয়েছি যে তারে/ চেনায় চেনায় অচেনারে...। কবিগুরুকে আরও বেশি করে আজ পাওয়া হবে। আজি মোর/ জন্মের স্মরণপূর্ণ বাণী,/ প্রভাতের রৌদ্রেÑ লেখা লিপিখানি/ হাতে করে আনি/ দ্বারে আসি দিল ডাক/... উদয় দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে।/ মোর চিত্ত-মাঝে/ চির নূতনেরে দিল ডাক/ পঁচিশে বৈশাখ। ডাক এসেছে চির নূতনের। আজ সোমবার আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন ২৫ বৈশাখ। ১৫৬তম রবীন্দ্রজয়ন্তী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সঙ্গীতের এই কিংবদন্তি পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কবিগুরুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবীন্দ্রনাথের লেখা, দর্শন, চিন্তা-চেতনা তথা বহুমাত্রিক আলোকচ্ছটার ঔজ্জ্বল্যে বাঙালীর জাতিসত্তা হয়েছে গৌরবান্বিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর সাহিত্য। ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। তাঁর এ প্রাপ্তি বাংলা সাহিত্যকে বিরল গৌরব এনে দেয়। বাঙালীর চেতনার রং স্পষ্ট হয়েছিল রবির আলোয়। বাঙালীর প্রতিটি আবেগ আর সূক্ষ্ম অনুভূতিকে স্পর্শ করে আছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেন যখন রাষ্ট্র ছিল পরাধীন। চিন্তা ছিল প্রথাগত ও অনগ্রসর। ওই সময় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তাজগতে আধুনিকতার বীজ বুনেছিলেন তিনি। বাঙালীর মানস গঠনে পালন করেছিলেন অগ্রদূতের ভূমিকা। বাঙালীকে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ভাষা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তাদের দেখার দৃষ্টিকে প্রসারিত করেছেন। সৃষ্টির প্রেরণা দিয়েছেন। বাঙালীর শিক্ষায়, নান্দনিক বোধে, সাংস্কৃতিক চর্চায়, দৈনন্দিন আবেগ-অনুভূতির অভ্যাসে এবং সাহিত্য-সঙ্গীত-শিল্পকলায় সারাক্ষণ আছেন তিনি। আছেন আমাদের নিশ্বাসে-বিশ্বাসে, বুদ্ধি-বোধে-মর্মে-কর্মে। তাই তিনি আমাদের লোক। তাকে আমরা পাই প্রেমে, প্রতিবাদে, আন্দোলনের অঙ্গীকারে এবং স্রষ্টার আরাধনার নিবিষ্টতায়। আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে আমরা তাঁকে পেয়েছি আত্মশক্তিরূপে। এই মহামানবের জন্মদিন উদ্যাপন মানে বাঙালীর আত্মপরিচয়ে প্রত্যয়দীপ্ত হওয়া। আজ তাই তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করবে সারাবিশ্বের বাঙালী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজ কর্মের মাধ্যমে সূচনা করে গেছেন একটি কালের। একটি সংস্কৃতির। কৈশোর পেরোনোর আগেই বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত বদলে দিতে শুরু করেন তিনি। তাঁর পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে বাঙালীর শিল্প-সাহিত্য। বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮ নাটক, ১৩ উপন্যাস ও ৩৬ প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সর্বমোট ৯৫ ছোটগল্প ও ১৯১৫ গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীত বিতান সঙ্কলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খ-ে রবীন্দ্ররচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্য-সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, আধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোমান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদী ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সাহিত্যের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের গান বাংলা সঙ্গীত ভা-ারকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আজকের বদলে যাওয়া সময়েও বিপুল ঐশ্বর্য নিয়ে টিকে আছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। এর আবেদন কোনদিন ফুরাবার নয়। বরং যত দিন যাচ্ছে ততই রবীন্দ্রসঙ্গীতের বাণী ও সুরের ইন্দ্রজালে নিজেকে জড়িয়ে নিচ্ছে বাঙালী। তাদের আবেগ-অনুভূতি কবিগুরুর গানের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জাতীয় সঙ্গীতেরও রচয়িতা তিনি। বহু প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায় সত্তর বছর বয়সে নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে অঙ্কিত তাঁর স্কেচ ও ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উৎসাহে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে। এরপর সমগ্র ইউরোপেই কবির একাধিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তাঁর আঁকা ছবিতে আধুনিক বিমূর্তধর্মিতাই বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। মানবতাবাদী এ কবি মানুষের ওপর দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল ছিলেন। তাঁর মতে, মানুষই পারে অসুরের উন্মত্ততাকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে সুরের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। তাই ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেনÑ ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ।’ ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ওই উপাধি বর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ। সমাজের কল্যাণেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তিনি দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ চার বছর ঘন ঘন অসুস্থতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এ সময়ের মধ্যে দুবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল কবিকে। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল। তখন সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে ওঠেননি। তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।/ সকল খেলায় করবে খেলা এই আমিÑ আহা,/ নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে,/ আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।... হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথ চিরদিনের। চির নূতন তিনি। নব নব রূপে তিনি প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আসেন। আসছেন। রাষ্ট্রপতির বাণী বিশ্বকবির ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের বিশালতা এবং তাঁর সৃষ্টির অপূর্ব মাধুর্যকে অন্তরাত্মা দিয়ে উপলব্ধি করতে হলে রবীন্দ্রচর্চার বিকল্প নেই। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জগত-সংসারকে জানতে নতুন প্রজন্ম রবীন্দ্র সাহিত্যে অবগাহন করবে, রবীন্দ্রচর্চায় ব্যাপৃত থাকবে। রবীন্দ্র চেতনার আলোকে ন্যায়ভিত্তিক-শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকীতে দেয়া বাণীতে শান্তিময় পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধের মাধ্যমে বাঙালীর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। কবিগুরুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা ও বাঙালীর অহঙ্কার। বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগতকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে; যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী, সঙ্গীত ও চিত্রকলায় সহস্রধারায় উৎসারিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবিঠাকুরের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালীর প্রেরণার উৎস। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন, যা দেশের মানুষের মনে সঞ্চারিত করেছে দেশপ্রেমের নতুন প্রেরণা। রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাণের আবেগ-ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় বাঙালী উদ্যাপন করছে দিবসটি। আজ ২৫ বৈশাখ সোমবার রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে পতিসরে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন থেকে শ্রদ্ধায় ভালবাসায় স্মরণ করা হবে কবিগুরুকে। সন্ধ্যায় ধানম-ির ছায়ানট ভবনে শুরু হচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা। প্রথম দিন থাকছে কথন, গান, পাঠ, আবৃত্তি ও নৃত্যের পরিবেশনা। একই রকম আয়োজন থাকবে আগামীকাল মঙ্গলবার। তারও আগে গত শুক্রবার থেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জন্মোৎসব শনিবার শেষ হয়েছে। দুই দিনব্যাপী আয়োজনে ৭০ জনের মতো শিল্পী রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। খ্যাতিমান শিল্পীরা যেমন ছিলেন, তেমনি গান করেছেন অপেক্ষাকৃত নবীনরা। একক ও সম্মেলক কণ্ঠে গাওয়া গানে স্মরণ করা হয় বাঙালীর মহান সাধক পুরুষ রবীন্দ্রনাথকে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার কবিগুরুকে স্মরণ করে বাংলা একাডেমি। বিকেলে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছিল নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথকে বিষয় করে একক বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী ফাহ্মিদা খাতুন। একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। ২০১৭ সালের রবীন্দ্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি। রবীন্দ্র সাহিত্যের গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ। একই পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী মিতা হককে। এভাবে জন্ম দিবস উপলক্ষে বিশেষভাবে সামনে এসেছেন কবিগুরু। রবির আলোয় উদ্ভাসিত এখন চারিধার।
×