ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টানা সাত জয়ে অপ্রতিরোধ্য গাজী

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ৭ মে ২০১৭

টানা সাত জয়ে অপ্রতিরোধ্য গাজী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলটি একের পর এক জয় পেয়ে উড়ছে। শনিবার যেমন ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১০ রানে হারিয়ে টানা সাত ম্যাচ জিতে নিল গাজী গ্রুপ। সেই সঙ্গে অপরাজেয়ও আছে দলটি। শীর্ষস্থানও অক্ষুণœœ রেখেছে। একইদিন আবার খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির কাছে ২০ রানে ধরাশায়ী হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৬২ রানে হেরেছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এনামুল হক বিজয় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তার ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপ জিতেছে। আগে ব্যাটিং করে বিজয়ের ৯৩ রানের ইনিংসে ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ রান করে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ। সাদ্দাম ও কাপালী তিনটি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ব্রাদার্সও জয়ের কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। ৪৮.৫ ওভারে ২২৬ রান করে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স। আবু হায়দার রনির (৪/৫২) বোলিং তোপে পড়ে ব্রাদার্স। মানভির বিসলা সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে খেলাঘর ও শেখ জামালের মধ্যকার দুর্দান্ত লড়াই হয়। তবে শেষ লড়াইয়ে জিতে খেলাঘরই। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খেলাঘর। ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি অসাধারণ ব্যাটিং করেন। ১২৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার এ ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৬৬ রান করে খেলাঘর। অবশ্য স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ৫ উইকেট শিকার করেন। কিন্তু রবি’র ব্যাটিংই আসলে শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয়। শেখ জামালও জেতার কাছাকাছিই চলে যায়। তবে রাজ্জাক ইনজুরিতে পড়ে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়াতেই আর জিততে পারেনি শেখ জামাল। রানআউট থেকে বাঁচতে গিয়ে ডাইভ দেন। তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান রাজ্জাক। স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেয়া হয় তাকে। পরে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজিন সালেহ’র ৭৬, জিয়াউর রহমানের ৭৫ রানে জয়ের কাছাকাছিই চলে যায় শেখ জামাল। কিন্তু ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি। যদি রাজ্জাক আগেই রিটায়ার্ড হার্ট না হত, তাহলে আরেকটি উইকেট থাকত শেখ জামালের। তাতে জয়ের আশাও জাগত। কিন্তু ৯ উইকেট শেষ হওয়াতে, রাজ্জাক আর ব্যাটিং না করতে পারাতে; গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। তানভির ইসলামও দুর্দান্ত বোলিং করেন। ৪ উইকেট তুলে নেন। ফতুল্লায় কলাবাগানকে পাত্তাই দেয়নি পারটেক্স। আগে ব্যাট করে বিশাল রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে পারটেক্স। ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৭৮ রান করে। ইরফান শুকুর (৫৮) ও সাজ্জাদুল হক (৫৩) হাফসেঞ্চুরি করেন। দুইজনের এমন ইনিংসেই এত বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়। সঙ্গে সাজ্জাদ হোসেনের ৪৬ ও জাতিন সাক্সেনার ৩৪ রানও বিশেষ ভূমিকা রাখে। নাবিল সামাদ ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৪৬.১ ওভারে ২১৬ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় কলাবাগান। ইমরান আলীর (৫/৪২) বোলিং তোপে পড়েই কলাবাগান ব্যাটসম্যানরা ছন্নছাড়া হয়ে পড়েন। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ-ব্রাদার্স ম্যাচÑ বিকেএসপি-৩ গাজী গ্রুপ ইনিংস ২৩৬/১০; ৪৮.৪ ওভার (বিজয় ৯৩, সোহরাওয়ার্দী ৪১, নাদিফ ৩৩; সাদ্দাম ৩/৩৪, কাপালী ৩/৪৮)। ব্রাদার্স ইনিংস ২২৬/১০; ৪৮.৫ ওভার (বিসলা ৫৬, কাপালী ৪৯, মাইশুকুর ৩৮*; রনি ৪/৫২)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ১০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ এনামুল হক বিজয় (গাজী গ্রুপ)। খেলাঘর-শেখ জামাল ম্যাচÑ বিকেএসপি-৪ খেলাঘর ইনিংস ২৬৬/৮; ৫০ ওভার (রবি ১০৩, অমিত ৫৮, পাপ্পু ৪৬; রাজ্জাক ৫/৫২)। শেখ জামাল ইনিংস ২৪৬/১০; ৪৭.২ ওভার (রাজিন ৭৬, জিয়াউর ৭৫, প্রশান্ত ৪৪, রাজ্জাক ১০ (রি. হা.); তানভির ৪/৪১)। ফল ॥ খেলাঘর ২০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রবিউল ইসলাম রবি (খেলাঘর)। পারটেক্স-কলাবাগান ম্যাচÑ ফতুল্লা পারটেক্স ইনিংস ২৭৮/৫; ৫০ ওভার (ইরফান ৫৮, সাজ্জাদুল ৫৩, সাজ্জাদ ৪৬; নাবিল ৩/৫০)। কলাবাগান ইনিংস ২১৬/১০; ৪৬.১ ওভার (মাসাকাদজা ৪৫, নুরুজ্জামান ৩৪; ইমরান ৫/৪২)। ফল ॥ পারটেক্স ৬২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ইমরান আলী (পারটেক্স)।
×