ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নতুন ধাপ্পাবাজি ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৭ মে ২০১৭

বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নতুন ধাপ্পাবাজি ॥ খাদ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নতুন ধাপ্পাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ। ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিএনপি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, সেই রূপরেখা ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রূপরেখা ঘোষণার কথা জানালেও তারিখ জানাননি। আগামী ১০ মে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুল ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে বিএনপি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করবেন, এটা নতুন একটা ধাপ্পাবাজি। এই ধাপ্পাবাজি করে জনগণকে আর ভোলানো যাবে না। আমরা অতীতের বিভীষিকাময় দিনগুলো ভুলিনি। বাংলাদেশের মানুষ আর সেই অবস্থায় ফিরে আসতে চায় না। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। যারা উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চায়, যারা জঙ্গীবাদের জন্মদাতা ও মদদদাতা, যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে, তাদের কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা (বিএনপি) লেভেল প্লেইং ফিল্ডের নামে সন্ত্রাসীদের অবাধে বিচরণের সুযোগ চাচ্ছে। অন্যদিকে গোপনে ২০১৩-১৪-এর মতো সন্ত্রাস করার ছক কিন্তু তারা তৈরি করছে। তিনি বলেন, বিএনপির এখন সুবোধ বালকের মতো কথার ফুলঝুরি দেখছেন, ভাল ভাল কথা, দাবি। কথাবার্তায় মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনের জন্য তারা গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন ঠিকই। আবার সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্যও কিন্তু তারা তৈরি হচ্ছেন। কাজেই আমাদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে ২০১৮ সালের শেষের দিকে বা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে। আশা করি এরা (বিএনপি) আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী খেলা আমরা খেলতে চাই। তারা যদি নির্বাচনে না আসে তবে তোষামোদ করে নির্বাচনে আনার প্রশ্নই ওঠে না। সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে পরিণাম ভয়াবহ হবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) যদি আবার সন্ত্রাসের পথে হাঁটে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। এ কথাটা আমি স্পষ্ট বলতে চাই। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সরকার কেবল নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে মাত্র। বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা কামরুল বলেন, সহায়ক সরকার, এই সরকার, সেই সরকার বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে যদি আসেন ভাল কথা, আপনাদের নিয়েই আমরা নির্বাচন করতে চাই। না আসলে আমরা আপনাদের জন্য বসে থাকব না। তিনি বলেন, এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। আবারও আওয়ামী লীগ ও মহাজোটকে নির্বাচিত করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কামরুল ইসলাম বলেন, একটা বর্ণাঢ্য জীবন আহসান উল্লাহ মাস্টারের, তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন তিনি। মৃত্যুর পরই বোঝা গেছে কত বড় মাপের ও কত বড় নেতা ছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কাছে থেকে মিছিল করার সুযোগ আমার হয়েছে। পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান।
×