ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ;###;চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ৪ লেন দ্রুত হবে ;###;ইয়াবা পাচারকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হবে ॥ উন্নয়নের বিমান যাত্রা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৭ মে ২০১৭

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হবে ॥ উন্নয়নের বিমান যাত্রা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের জনগণের জন্য দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। স্বাধীন দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক এটা আমি চাই। আমি শাসক নই, জনগণের সেবক। দেশের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করব। যেসব জনগণের জন্য আমার বাবা-মা, ভাই ও আত্মীয়স্বজনরা মারা গেছেন, ওই সব জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করলে তাঁরা শান্তি পাবে। তাই ‘সেই শোক, সেই ব্যথা নিয়ে আমি আপনাদের কল্যাণে আপনাদের মাঝে ছুটে এসেছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৩০ কি.মি দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত বিশ্বের কোথাও নেই। আছে এ দেশে, কক্সবাজারে। কক্সবাজারকে সুন্দরভাবে সাজানো সবার দায়িত্ব। সারাবিশ্ব থেকে পর্যটক আসেন। আপনারা কক্সবাজার নিয়ে ভাবুন, উন্নয়নের চিন্তা করুন। সবাই মিলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন করি, বিএনপি ক্ষমতায় এসে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কক্সবাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। নির্যাতন করেছে তাদের পরিবারগুলোর ওপর। রামু ও উখিয়ার বৌদ্ধবিহার-মন্দিরে আগুন দিয়েছে। ওই সময় বিদ্যুত কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে। কক্সবাজারের হিন্দুপল্লীর বাড়িঘরে আগুন দেয়াসহ পালপাড়া, টাইমবাজারে সংখ্যালঘুদের দোকান, বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। বিএনপি ক্যাডাররা দখল করে নিয়েছে ২০ হাজার একর বনভূমি। উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতসংলগ্ন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা গ্রামের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু করেছিলাম। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সেটা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর মামলা-হামলা চালায় তারা। আমার ওপর গ্রেনেড হামলা করে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, বাংলাভাই সৃষ্টি করে। আমরা জঙ্গীবাদ নির্মূল করি। তাই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে সার্বিক উন্নয়নে আবারও কাজ শুরু করি। গত আট বছরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কয়লা তাপবিদ্যুত কেন্দ্র ও মেরিন ড্রাইভ উপহার দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের অপার সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, কক্সবাজার হবে উন্নত একটি জেলা, উন্নত পর্যটন, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হয়ে গেছে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কও চার লেন হবে অতিদ্রুত। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বোয়িং চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট আসবে এবং দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে বলেও তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় জনসভায় ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ঠিক ৩টা বেজে ৪৭ মিনিটে বক্তৃতা দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শুধু কক্সবাজার নয়, পুরো দেশের অনেক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারসহ বিগত সময়ের সরকারের তুমুল সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি লুটের সরকার। খুনের সরকার। তাদের সময়ে খুন-গুম ছাড়া কোন উন্নয়ন হয়নি। মানুষের জন্য তারা কোন কাজই করেনি। তারা আজ প্রত্যাখ্যাত। একাধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি দেশের উন্নয়ন করেনি বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি দুর্দিনেও নেই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। উপহার এনেছি। যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখানে পর্যটক আসেন, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করল। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।’ বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এয়ারপোর্টটি (বিমানবন্দর) জরাজীর্ণ ছিল। ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে এটিকে উন্নত করে যাই। এই বিমানবন্দরকে উন্নত করার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। বিমানবন্দরটি যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেজন্য রানওয়ে প্রশস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারবাসী অবহেলিত ছিল আমি জানি। যখনই কোন দুর্যোগ দেখা দিয়েছে- আমরা এসেছি, আপনাদের সেবা করেছি। ‘১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এখানে এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরেনি। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে? এরপর আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে এসেছিলোম। আসার পথে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তা ভাঙ্গা ছিল। এরই মধ্যে এসে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে রিলিফওয়ার্ক করেছি। তখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কেউ আসেনি। যখন কুতুবদিয়ায় নামি, লাশের পর লাশ চোখে পড়েছিল। নেভির লোক কোনভাবে লাশ দাফন করেছিল। সেদিনই সেনাবাহিনীর একটি দল এসেছিল। প্রত্যেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের লাশ, শিশুর লাশ, মহিলার লাশ আমি নিজে দেখেছি। শত শত মৃত গরু, ছোট্ট শিশুর লাশ ভেসে ভেসে আসছে- সেই বীভৎস দৃশ্য দেখেছি। যতটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করে, তারা জনগণের কথা ভাবে না। তারা ক্ষমতা ভোগ করে আর কিছু এলিট-দুর্নীতিবাজকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমি শাসক না, জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালনা করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একই দিনে মেজ ফুফুর বাড়ি, সেজ ফুফুর বাড়িতে আক্রমণ করে তার স্বামী-ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছোট ফুফুর বাড়িতেও আক্রমণ করে ফুফাকে না পেয়ে ফুফুকে গৃহবন্দী করেছে। এভাবে হত্যাযজ্ঞ চলেছে। বিএনপি এক আমার বিরুদ্ধে ডজনের বেশি মামলা করেছে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের একটা বদনাম আছে, এখান থেকে নাকি ইয়াবা পাচার হয়। ইয়াবা পাচার বন্ধ করুন। যারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা দেশের জন্য অভিশাপ। তিনি বলেন, মাদক মানুষকে ধ্বংস করে। সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। মাদকদ্রব্য থেকে সন্তানদের দূরে রাখার বিষয়ে মা-বাবাকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদকে রুখে দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন জাতি ভিক্ষা করতে পারে না। আমরা ভিক্ষুকমুক্ত জাতি গড়তে চাই। বঙ্গবন্ধু সে লক্ষ্যেই কাজ করেছিলেন। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদের করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের দল। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের সময় কোন মানুষ নিঃস্ব থাকবে না। গৃহহারা হবে না কেউ। আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। নিঃস্ব মানুষদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করতে ‘গুচ্ছগ্রাম’ তৈরি করছি। আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্য খুলে যায়। আওয়ামী লীগের মেগা উন্নয়নকর্মে দেশ এগিয়ে যায়। শূন্য অবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিলেও আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ মেঘদূতে চেপে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পোঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় কক্সবাজারের সম্প্রসারিত রানওয়ে ব্যবহার করে নামার পর বিমানবন্দরে বড় আকারের উড়োজাহাজ চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। পরে ইনানীতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন করেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেরিন ড্রাইভ তৈরি করতে গিয়ে যাদের ঘরবাড়ি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, নদীর ওই পারে তাদের জন্য আলাদা বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। তারা মূলত শুঁটকি ব্যবসায়ী। তাদের জন্য শুঁটকি শুকানোর পৃথক জায়গাও করে দেয়া হচ্ছে। তারা যাতে শুঁটকি বাজারজাত করতে পারে সে ব্যবস্থাও করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার হবে নতুন অঞ্চল, টার্মিনাল হবে। এটি শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, খেলাধুলার কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক খেলা হবে এখানে। সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফুটবল খেলার ব্যবস্থাও করে দেয়া হবে। বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী মেরিন ড্রাইভ তৈরির সময় পাহাড় ধসে দুর্যোগে সেনাবাহিনীর যে ছয় সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের গভীরভাবে স্মরণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস, কক্সবাজার সরকারী কলেজের একাডেমিক ভবন কাম এক্সামিনেশন হল, কক্সবাজারের উখিয়ায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে পাহাড়, অপরদিকে সাগরের অপরূপ সৌন্দর্যম-িত ইনানী এলাকায় উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটারের এ সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মেরিন ড্রাইভ সড়ক শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো এশিয়া মহাদেশের অহঙ্কার। এতে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প এগিয়ে গেল আরও কয়েক ধাপ। এদিকে, সকাল থেকে দলে দলে লোক আসা শুরু করে সভাস্থলে। বিকেল ৩টার আগে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সভাস্থল ছাড়াও পর্যটন গল্ফ মাঠ, গোলচক্কর মাঠ ভর্তি হয়ে প্রধান সড়কের উভয় পাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোজা সৈকতে নেমে যান। সেখানে কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটেন তিনি। নামেন পানিতেও। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রথম সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানান। বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি। ইনানী সৈকতে বিচরণের সময় প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল।
×