ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্ধার এক লাশ

চার জেলায় ৪ খুন

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৭ মে ২০১৭

চার জেলায় ৪ খুন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ফেনীতে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছে। পাবনায় কৃষককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। লালমনিরহাটে জুয়া খেলায় হেরে খুন হয়েছে যুবক। ডিশ মিস্ত্রি খুন হয়েছে গজারিয়ায়। এছাড়া ধলেশ্বরী নদী থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে অজ্ঞাত লাশ। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : ফেনী ॥ ফুলগাজী থানার পূর্ব বসিকপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়- পাবিবারিক বিরোধের জের ধরে মাওলানা আবদুল মালেকের (৬৫) সঙ্গে ছেলে আবদুল হালিমের বিরোধ চলছিল। রাত ১২টার দিকে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে হালিম বাবা আবদুল মালেককে ছুরিকাঘাত করে। পরিবারের লোকজন ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর ছেলে পলাতক রয়েছে। পাবনা ॥ আটঘরিয়ায় কৃষক সাদেক আলী মৃধাকে বাড়ি থেকে অপহরণের পর শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে বিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত সাদেক আলী একদন্ত ইউনিয়নের হিদাসকোল গ্রামের মৃত তায়জুল মৃধার ছেলে। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করা হয় । পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে নিজ বাড়িতে ঘুমায় সাদেক আলী মৃধা। এরপর রাতে তাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। শনিবার সকালে হিদাসকোল গ্রামের আম বাগানের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। হত্যার কারণ জানা যায়নি। লালমনিরহাট ॥ শুক্রবার রাতে জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর ইন্দারপাড়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ(আইপিএল) খেলায় জুয়াকে কেন্দ্র করে সন্তোষ কুমার(৩০) খুন হয়েছে। জানা গেছে, ইন্দারপাড়ে জুয়ারি চক্র আইপিএল খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসর বসিয়েছে। এতে সন্তোষ বাজি ধরে। বাজিতে সে হেরে যায়। কিন্তু তাৎক্ষণিক অর্থ দিতে পারেনি। এতে জুয়াড়িরা সন্তোষকে আটক করে মাটিতে ফেলে লাথি মারে। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। তাকে তাৎক্ষণিক লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৩টায় সন্তোষ মারা যায়। মুন্সীগঞ্জ ॥ গজারিয়ায় হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে সোহেল (২২) নামের ডিশ লাইনের মিস্ত্রিকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সোয়া ১ টার দিকে জামালদি ব্র্যাক অফিসের কাছ থেকে টহল পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগে সোহেল এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে গেছেন। গজারিয়া থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ি মিরপুর ১ নম্বর থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসে। বিভিন্ন স্থান ঘুরে নির্মমভাবে আঘাত করার পর মারা গেছে ধারণা করে এখানে ফেলে যায়। অপরদিকে লঞ্চঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের (২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। গুরুদাসপুরে বস্তাবন্দী শিশুর লাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৬ মে ॥ গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজার পাড়ায় দৃষ্টি নামের আড়াই বছরের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রতিবেশী প্রদীপ কুমারের বাড়ী থেকে তার বস্তাবন্দী করে ট্র্যাংক আটকে রাখা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার প্রদীপ কুমার, তার স্ত্রী রিতা রানী, ছেলে হৃদয় ও ছোট ভাই বজ্র গোপালকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে দৃষ্টি হারিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর বিকেল ৫টার দিকে দৃষ্টির বাবা মোহন ঘোষ নিখোঁজ হয়েছে মর্মে গুরুদাসপুর থানায় জিডি করেন। শনিবার বিকেলে আবার তল্লাশি করতে গিয়ে প্রতিবেশী প্রদীপ কুমারের বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচে ট্র্যাংক থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক রিতা রানী জানান, তার মেয়ে প্রীতির সঙ্গে দৃষ্টি তাদের খাটের ওপর খেলছিল। চুনুর কৌটা নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে খাট থেকে ঘরের মেঝেতে পড়ে মাথায় লেগে অচেতন হয়ে পড়ে মারা যায়। ওই সময় ভয়ে দৃষ্টিকে বস্তার ভেতরে নিয়ে টিনের বাক্সে লুকিয়ে রাখি। নিহত দৃষ্টির মা লক্ষ্মী রানী ঘোষ তার মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
×