ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের শিক্ষাবৃত্তি পেল ৫৬ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৭ মে ২০১৭

ভারতের শিক্ষাবৃত্তি পেল ৫৬ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিভাগের ৫৬ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিল ভারতীয় হাইকমিশন। শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে চেক তুলে দেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আদর্শের। দুই দেশের আদর্শ এক। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। তাদের অবদান কোন দিন ভোলার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ভারতের বৃত্তি প্রদান দুই দেশের একাত্মতার প্রতীক। রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডাঃ আবদুল মান্নান, চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি ও কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক। অভিজিৎ চট্টপাধ্যায় বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ২০০৬ সাল থেকে এই বৃত্তি চালু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিমের তহবিলে ১৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবছর দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিচ্ছে ভারত সরকার। এই বৃত্তি চলমান থাকবে। স্নাতক দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করেন। যেসব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম, যাচাই-বাছাই শেষে এমন পরিবারের ৫৬ শিক্ষার্থীকে ২৪ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হলো। নাটোরে আদিবাসীদের উচ্ছেদের ঘটনায় তদন্ত কমিটি নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৬ মে ॥ আদালতের নির্দেশে নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ১৫টি পরিবারকে উচ্ছেদের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইদুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং আইন মন্ত্রণালয়ের দুই উপ-সচিব। এদিকে উচ্ছেদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুজ্জামান ভুইঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্তলেখা নাজনীন, নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন উচ্ছেদ পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে এই রায় মেনে নিয়ে আপনাদের এই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। অন্যত্র সরকারী খাস জায়গায় আপনাদের নতুন বাসস্থান গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। পরে জেলা প্রশাসক অন্যত্র খাস জায়গা খুঁজে বের করে সেখানে তাদের নতুন বাসস্থান নির্মাণের জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এছাড়া রবিবার সরকার পক্ষ হয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবে জেলা প্রশাসন। যতদিন না মামলার সমাধান হয় ততদিন সরকারী অন্য খাস জায়গায় তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
×