চা রফতানিতে আয় ২৩২ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে চা রফতানিতে আয় বেড়েছে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে চা রফতানিতে আয় হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আয় হয়েছে এক কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ১৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৮ কোটি ৪০ লাখ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯৫ দশমিক ৯২ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চা রফতানিতে আয় হয়েছে এক কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ১৪৬ কোটি ৪০ লাখ। সেই তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, কুয়েত, ওমান, সুদান, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চা রফতানি হচ্ছে। গত বছর ৬২ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬২টি চা বাগান আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক লাখ কেজি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৬২ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ বলেন, আমাদের বার্ষিক উৎপাদন গড়ে ৬২ থেকে ৬৭ মিলিয়ন কেজি। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল প্রায় ৭৮ মিলিয়ন কেজি। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০১৬ সালে ৮১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা চায়ের ইতিহাসে সবচেয়ে ভাল উৎপাদন ছিল। এটা হয়েছিল মূলত চায়ের জন্য আদর্শ তাপমাত্রার কারণে। ঠাকুরগাঁও চিনিকলের খামার দিবস অনুষ্ঠিত নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ আখ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও চিনিকলের আয়োজনে শনিবার খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে চিনিকলের অধীনে সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইক্ষু ব্লকে আয়োজিত খামার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ চিনি খাদ্য ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশনের (বিএফআইসি) চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন, এফসিএমএ। ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ বিএফআইসির পরিচালক মাহবুবর রহমান ও মোশারফ হোসেন।