ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মহিউদ্দিন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ;###;চেম্বার গ্রুপে ১৮ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

এফবিসিসিআইয়ে নির্বাচন হচ্ছে এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৭ মে ২০১৭

এফবিসিসিআইয়ে নির্বাচন হচ্ছে এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে

এম শাহজাহান ॥ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ২০১৭-১৯ মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ায় তাঁর বিপরীতে কেউ আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে আসায় মহিউদ্দিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। এফসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে তিনি প্রথম সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে মহিউদ্দিন সমর্থিত সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ থেকে চেম্বারে গ্রুপের ১৮ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে চেম্বার গ্রুপে সমঝোতা হলেও এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম। আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদিনই ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও রেস্তরাঁয় চলছে নির্বাচনী প্রচার। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ হবে-ব্যবসায়িক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। দেশের শিল্পায়ন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানে বরাবরই বেসরকারী খাত বড় ভূমিকা পালন করছে। নারীরা উদ্যোক্তা হচ্ছেন, কিন্তু তাঁরা সরকারী সুযোগ-সুবিধা সেভাবে নিতে পারছেন না। ভ্যাট নিয়ে এক ধরনের জটিলতা আছে। জেলা চেম্বারগুলোর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরই এসব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বসে সব সমস্যার সমাধানকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এফবিসিসিআইকে একটি শক্তিশালী এবং আধুনিক মানের এ্যাপেক্স বডি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এক জেলা এক পণ্য হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলাকে অর্থনৈতিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আমের জন্য রাজশাহী, আলুর জন্য মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদীর কলা, ধান-চালের জন্য ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, সবজির জন্য গাজীপুর-যশোর। আম ও আলু প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন ধরনের খাবার বানানো যায়। কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প দেশে সেভাবে গড়ে উঠছে না। আগামীতে এসব বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে। মহিউদ্দিন আরও বলেন, দেশে ছোট ও মাঝারি দুই কোটি ১৪ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের সমস্যা সমাধানে ও সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ করব। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করব। এদিকে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম থেকে ব্যবসায়ী নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীর, মুঞ্জুর আহমেদ, মোঃ জালাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, ওবায়দুর রহমান, রাব্বানী জব্বার, মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ, আমির উদ্দিন বিপু এনায়েত হোসেন চৌধুরী, নাসির মজুমদার, ডাঃ মাহবুব হাফিজ, ড. কাজী এরতেজা হাসান, মোঃ জামাল উদ্দিন, মোঃ ইসহাকুল হোসেন সুইট, ফেরদৌস হুদা চৌধুরী, মোঃ শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, আলী জামান এবং তাহের আহমেদ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। জানা গেছে, সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ কে সমর্থন দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এ কে আজাদ, মেয়র আনিসুল হক, সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং মোঃ জসিম উদ্দিন। মোঃ জসিম উদ্দিন পরবর্তী ২০১৯-২১ মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হবেন এ ধরনের একটি সমঝোতা করেছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও এ ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পানেলের এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে নির্বাচন করছেন, সুইয়িং থ্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েশনের আব্দুল হক, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার মেশিনারিজ মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর এ্যাসোসিয়েশনের এসএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার এ্যান্ড আউট সোর্সিংয়ের সাফকাত হায়দার, বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস মার্চেন্ট এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের আবুল আয়েস খান, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এ্যাসোসিয়েশনের মুনতাকিম আশরাফ, বাংলাদেশ হার্ডবোর্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের নিজামুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ লেদারগুড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের আমজাদ হোসাইন, বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, বারবিডার হাবিবুল্লাহ ডন, রেস্টুরেন্ট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের খন্দকার রুহুল আমিন, সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্যাট ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের নিজামুদ্দিন রাজেশ, ক্যাব এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হাফেজ হারুন, ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশনের শমী কায়সার, আউট সোর্সিং এ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস প্রোভাইডার এ্যাসোসিয়েশনের আবু নাছের, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি। চেম্বার গ্রুপের নির্বাচিত পরিচালক ॥ চেম্বার গ্রুপ থেকে বাগেরহাট চেম্বারের হাসিনা নেওয়াজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের নিজাম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দীলিপ কুমার আগারওয়াল, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান, ফেনী চেম্বারের একেএম শাহেদ রেজা, গাজীপুর চেম্বারের মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম, জামালপুর চেম্বারের রেজাউল করিম রেজনু, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের কাজী গোলাম আশরিয়া, মানিকগঞ্জ চেম্বারের তাবারুকুল তোসাদ্দেক হোসাইন খান টিটু, মুন্সীগঞ্জ চেম্বারের কোহিনূর ইসলাম, নরসিংদী চেম্বারের প্রবীর কুমার সাহা, নোয়াখালী চেম্বারের মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূইয়া, রাঙ্গামাটি চেম্বারের মোহাম্মদ বজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ চেম্বারের খায়রুল হুদা চপল, বগুড়া চেম্বারের মামুনূর রহমান মিলন এবং সিরাজগঞ্জ চেম্বারের রিয়াদ আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরা নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেলেন।
×