ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৭ মে ২০১৭

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সামান্য বাড়লেও কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ২ হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৮৮৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসেবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১.৪৩ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ১১ শতাংশ বা ৬.২৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ০৫ শতাংশ বা ১ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ০৯ শতাংশ বা ১.১৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮.৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৫.১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৫.৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৪.৫ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৩ পয়েন্টে, সাধারণ বীমা খাতে ১২.৭ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬.৩ পয়েন্টে। এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৭.১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৮.৫ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২১.৮ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ৩২.৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.৮ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯.৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৭.৯ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজীবাজার পাওয়ার, সাইফ পাওয়ারটেক, বিডি ফাইন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স ও আর্গন ডেনিম। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বিডি ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, আরডি ফুড, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, রূপালী ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ন্যাশনাল ফিড, আমরা টেক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জনতা ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, এমআই সিমেন্ট, জাহিন টেক্সটাইল, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সী ফুড, জিল বাংলা সুগার, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ও আরামিট সিমেন্ট। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
×