ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ট্রাম্প সাক্ষাত করবেন কিমের সঙ্গে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৭ মে ২০১৭

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ট্রাম্প সাক্ষাত করবেন কিমের সঙ্গে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘কথিত দুর্বৃত্ত’ নেতাদের সঙ্গে তার ব্যবধান অব্যাহত রাখলেও সোমবার ঘোষণা করেছেন, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করবেন যদি সুস্থ পরিস্থিতি বজায় থাকে এবং যদিও ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের হোয়াইট হাউস সফরে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করেছেন এই বলে যে, তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন। খবর ইয়াহু অনলাইনের। যিনি পরমাণু অস্ত্র-স্বেচ্চাচারী, বর্বরভাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর শুদ্ধি অভিযান চালান এবং সন্দেহভাজন মাদক অপরাধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য অভিযুক্ত এক বিদ্রোহী রাজনীতিবিদ তার প্রতি ট্রাম্পের এ ব্যত্যয়ী প্রস্তাব নিজের আচরণগত সামর্থ্যে তার আস্থা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় এবং দৃশ্যত যে কারোর সঙ্গে আলোচনায় তার ইচ্ছা রয়েছে বলে প্রকাশ পায়। মোটের ওপর এ প্রবণতা তার নিজস্ব কূটনীতির ধরনে তার গুরুত্বহীনতা প্রকাশ পেয়েছে, বৃহত্তর কোন লক্ষ্য নয়। কোরীয় যুদ্ধ শেষে কিমের প্রপিতা কিম ইল সুং একটি স্টেলিনবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর কোন ক্ষমতাসীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কোন উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তারপরও ট্রাম্পের এ শান্তি প্রস্তাব অস্পষ্ট ও অচিন্তনীয় হলেও তা কোরীয় উপদ্বীপের জন্য এক অমীমাংসিত পরিস্থিতিরই অস্তিত্ব দেখা যায়। দ্বীপ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনায় আশঙ্কিত। বিবিসি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘যথাযথ পরিস্থিতিতে’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাত হলে তিনি ‘সম্মানিত’ বোধ করবেন। তিনি সোমবার নিউইয়র্কের মেয়র ব্লমবার্গকে এ কথা বলেছেন। ট্রাম্প ব্লমবার্গকে বলেন, ‘তার সঙ্গে সাক্ষাতের মতো পরিস্থিতি হলে আমি অবশ্যই দেখা করব। দেখা হলে আমি সম্মানিত বোধ করব।’ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্য এলো। বিবিসি বলেছে, ট্রাম্প সাক্ষাতের ‘যথাযথ পরিস্থিতি’ বলতে কী বুঝিয়েছেন তার একটি ব্যাখ্যা এসেছে হোয়াইট হাউস থেকে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই নেতার মধ্য বৈঠক হতে হলে তার আগে উত্তর কোরিয়াকে বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইপার বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ‘উস্কানিমূলক কর্মকা-’ অবিলম্বে বন্ধ হবে বলেই ওয়াশিংটন প্রত্যাশা করে। রবিবার সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, কঠিন কিছু মানুষের মোকাবেলা করে তরুণ বয়সেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায় নিজের একমাত্র ফুফার মৃত্যুদ কার্যকর করেন কিম। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় নিহত নিজের সৎভাইকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবেও অনেকে সন্দেহ করে তাকে। ট্রাম্প বলেন, লোকজন বলছে, ‘তার (কিম) মাথা ঠিক আছে তো?’ তিনি বলেন, (এ বিষয়ে) আমার কোন ধারণা নেই। তবে তার বাবা যখন মারা যান, সে ২৬ কী ২৭ বছরের এক যুবক। নিশ্চিতভাবেই তাকে খুব কঠিন লোকজনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়েছে, বিশেষ করে জেনারেলদের সঙ্গে। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ের উত্তর কোরিয়ায় বিশেষ দূত পেশাজীবী কূটনিতিবিদ ক্রিস্টোফার আর হিল বলেছেন, কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দিত হবেন এবং এর ভিত্তি হবে এক পরমাণু শক্তিধর নেতার সঙ্গে অন্য পরমাণু শক্তিধর নেতার সাক্ষাত। তিনি বলেন, আমি ট্রাম্প হলে এভাবেই বিষয়টা অতিক্রম করতাম।
×