জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে যশোরের ঝিকরগাছায় কৃষকসহ দুজন, বরিশালে দুইজন এবং নড়াইলে এক শ্রমিক রয়েছেন। শুক্রবার সকালে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে ঝিকরগাছার নিশ্চিন্তপুর এলাকার একাব্বর আলীর ছেলে কৃষক ইউনুস আলী হালের দুটি বলদ নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তার গরু দুটিও মারা যায়।
অপরদিকে বায়সা এলাকার তাজউদ্দিনের ছেলে জসিমুদ্দিন সকালে মাঠে যাচ্ছিলেন শসা তুলতে। ওই সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জসিমুদ্দিন এবার এসএসসি পাস করেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ঝিকরগাছা থানার ওসি মাসুদ করীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বরিশালে কৃষকের মৃত্যু
হিজলা উপজেলার চরকিল্লা পূর্বেরচর গ্রামে শুক্রবার সকাল নয়টায় বজ্রপাতে তারেক সরদার
নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তারেক ওই গ্রামের রহমত সরদারের ছেলে।
হিজলা গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সরদার জানান, ঘটনার সময় তারেক মাঠে কাজ করছিল। এ সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মাঝে বজ্রপাতে তারেক মারা যায়। হিজলা থানার ওসি মোঃ মাসুদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামে বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিক হারিছ মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ফরিদপুর সদর থানার ইসমাইল মোল্লার পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামের আকবর সরদারের বোরো ক্ষেতে শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ধান কাটার সময় কালবৈশাখী ঝড়ের মাঝে আকস্মিক বজ্রপাতে হারিছ মোল্লা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়াইলে শ্রমিকের মৃত্যু
কালিয়া উপজেলার পিরোলী বিলে বজ্রপাতে মধু গাজী (৫৫) নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। মধু সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার চিনিডাঙ্গা গ্রামের কাশেম গাজীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে কালিয়ার শীতলবাটি গ্রামে কাবেজ শেখের ধান কাটার জন্য শ্রম বিক্রি করতে আসেন মধু গাজী। অন্যদিনের মতো শুক্রবার সকালে ধান কাটার জন্য বিলে যান তিনি। এ সময় বজ্রপাত হলে মধু গাজীর মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে একই এলাকার ইসহাক মোড়ল নামে আরও এক শ্রমিক ছিলেন। তবে ইসহাক অক্ষত আছেন।
শিলাবৃষ্টিতে আম ও ধানের ক্ষতি
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৬ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টিতে ফের আম-লিচু ও উঠতি বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত আচমকা এ শিলা বৃষ্টি হয়।
এর আগে বিকেল ৩টার দিক থেকে হঠাৎ রাজশাহীর আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। দীর্ঘক্ষণ হালকা ঝড়োবাতাস হওয়ার পর বিকেল ৪টা থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে হালকা বৃষ্টি হলেও সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টির গতি বেড়ে যায়। শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় শিলাপাত। শুরুর দিকে ছোট শিলা পড়লেও বেশ কয়েক মিনিট মাঝারি ধরনের শিলা বৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: