ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইমরানের চেয়ে ভাল অধিনায়ক মিসবাহ!

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৬ মে ২০১৭

ইমরানের চেয়ে ভাল অধিনায়ক মিসবাহ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান একবারই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে। সেটি ১৯৯২ সালে। ইমরান খানের নেতৃত্বে একবারই বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে পাকিস্তান। আর ২০০৯ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে পাকিস্তান। অধিনায়ক ছিলেন ইউনুস খান। আর কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি পাকিস্তান। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাকেই সবচেয়ে মর্যাদাকর জয় হিসেবে ধরা হয়। সেখানে ইমরানই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। অথচ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান কোনভাবেই ইমরানকে ভাল অধিনায়ক বলতে নারাজ। তার চোখে ইমরানের চেয়ে ভাল অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানের চেয়ে বর্তমান দলপতি মিসবাহ উল হক ভাল অধিনায়ক বলে মনে করেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট পরিসংখ্যান দিয়ে ইমরানের চেয়ে মিসবাহকে আমি এগিয়ে রাখব। অধিনায়ক হিসেবে ইমরানের চেয়ে মিসবাহ এগিয়ে।’ পরিসংখ্যানকেই এখানে বিবেচনায় এনেছেন শাহরিয়ার। আর কিছুকে নয়। তাইতো শাহরিয়ার বলতে পেরেছেন, ‘আমি সবসময়ই পরিসংখ্যান ও সাফল্যের ওপর বিশ্বাস করি। টেস্টে পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দিয়েছে মিসবাহর অধিনায়কত্ব। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে ওঠে। তাই ইমরানের চেয়েও ভাল অধিনায়ক মিসবাহ। ওয়ানডেতেও মিসবাহর সাফল্য ভাল। ইমরানের চেয়ে বেশি না হলেও কম নয়। তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছে মিসবাহ।’ টেস্টে পাকিস্তানকে ৪৮টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমরান। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১৪টিতে, হেরেছে আটটিতে ও ড্র হয়েছে ২৬টি ম্যাচ। অপরদিকে পাকিস্তানকে ৫৫টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৫টিতে জয়, ১৯টিতে হার ও ১১টি ড্র এনে দিয়েছেন মিসবাহ। আবার ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ১৩৯টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন ইমরান। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান জয় পেয়েছে ৭৫টিতে, হেরেছে ৫৯টিতে, টাই হয়েছে ১টিতে এবং ফলাফল হয়নি ৪টিতে। পাশাপাশি ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপও পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন ইমরান। ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৫টিতে জয়, ৩৯টিতে হার, দুটিতে টাই ও একটি ম্যাচ ফলহীন এনে দিয়েছেন মিসবাহ। তাই দেখা যাচ্ছে, টেস্টে মিসবাহ’র নেতৃত্বে জয়/হারের শতাংশ ৩৪.৫৪ এবং ইমরানের নেতৃত্বে জয়/হারের শতাংশ ১৬.৬৬। আবার ওয়ানডেতে ইমরানের নেতৃত্বে জয়/হারের শতাংশ ৫৫.৯২ এবং মিসবাহ’র নেতৃত্বে জয়/হারের শতাংশ ৫৩.৪৮। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে টেস্টে সাফল্যের দিক দিয়ে ব্যাপকভাবে এগিয়ে মিসবাহ। ওয়ানডেতেও সাফল্যের দিক দিয়েও খুব বেশি পার্থক্য নেই দুই অধিনায়কের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ দিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মিসবাহ। ভবিষ্যতে মিসবাহকে পাকিস্তান ক্রিকেটে প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহরিয়ার, ‘ভবিষ্যতে পাকিস্তান ক্রিকেটে মিসবাহর মতো খেলোয়াড়ের প্রয়োজন পড়বে। তার অভিজ্ঞতা পাকিস্তান ক্রিকেটকে বহুদূর এগিয়ে নিবে।’ শাহরিয়ার যখন এমন কথাগুলো বলেছেন, এমন মুহূর্তেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছে পাকিস্তান।
×