ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নগর জীবনের আরেক বিড়ম্বনা সার্ভিস চার্জ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৬ মে ২০১৭

নগর জীবনের  আরেক বিড়ম্বনা সার্ভিস চার্জ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সার্ভিস চার্জ। বাড়ি ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নগর জীবনের আরেকটি বিড়ম্বনার নাম। নিয়মানুযায়ী লিফট, জেনারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী এবং সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের বিনিময়ে ফ্ল্যাটগুলোতে এই চার্জ নির্ধারণ করার কথা মালিকপক্ষের। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা মানছেন না কেউ। অন্যদিকে চার্জ দিয়েও সেই অনুযায়ী সার্ভিস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকের। ভাড়াটিয়া পরিষদের নেতারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা বা নীতিমালা না থাকায় বাড়িওয়ালাদের এমন খেয়াল-খুশির শিকার হতে হচ্ছে নগরীর ভাসমান মানুষগুলোকে। রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার নোটিস দেয় বাড়িওয়ালা। পরে থানায় জিডি করেও পাননি কোন সুবিচার। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেননি? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবাদ করাতে আজকে আমাকে নোটিস দিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। দেশে আইন বলে কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। এক ভাড়াটিয়া অভিযোগ করেন, করিডর পরিষ্কার বাবদ টাকা নেয়। অথচ এই করিডর আমি নিজে ঝাড়ু দেই। এই ঝাড়ু দেয়াটা তো বাড়িওয়ালাদের দায়িত্ব। অন্য আর একজন ভাড়াটিয়া বলেন, জেনারেটর সুবিধা বাবদ সার্ভিস ফি দিতে হয়। অথচ বিদ্যুত চলে আসলেও তার সুবিধা পাই না। সার্ভিস চার্জ নিয়ে এমনই বিড়ম্বনার শিকার রাজধানীর প্রায় প্রতি এলাকার ভাড়াটিয়া। যদিও এ নিয়ে ভিন্ন সুর বাড়িওয়ালাদের। তাদের কারো কারো সুর, সার্ভিস চার্জ ছাড়াও তো বাড়ি আছে, যদি এই চার্জ না দিতে চাই সেই বাড়িগুলোতে যাবে। বিষয়টিকে নিয়মের মধ্যে না আনলে এমন দুর্ভোগের কোন সমাধান হবে না বলে মত ভাড়াটিয়া পরিষদের। যদিও এ বিষয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি রিহ্যাবের। রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভুইয়া বলেন, সার্ভিস চার্জ নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারাইন সুলনা বাহার বলেন, বাড়িওয়ালারা প্রভাবশালী এবং নিয়ন্ত্রক হওয়ার কারণে এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ না থাকায় আমাদের ওপর এই নির্যাতন চলছে। বাড়িওয়ালাদের এমন খেয়াল-খুশি মেনে না নিয়ে এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার পরামর্শ তার।
×