ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে সর্বহারার নামে চাঁদা দাবি ॥ আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৬ মে ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে সর্বহারার নামে চাঁদা দাবি ॥ আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে সর্বহারা সংগঠন বিপ্লবী জনযুদ্ধ দলের নামে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। চাঁদাবাজদের ভয়ে উপজেলা প্রশাসনের ২ কর্মকর্তা বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করলেও ফের চাঁদার অংক বাড়িয়ে দিয়েছে দলটির নেতারা। এই দুই কর্মকর্তার বাইরে অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবির পরিমাণ আরও বেশি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে চাঁদা পরিশোধ করা না হলে কর্মকর্তাদের সন্তানদের বাসার সামনে বা স্কুল থেকে কিডন্যাপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে চাঁদাবাজরা। তাছাড়া চাঁদা পরিশোধ না করা হলে কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ঢাকা থেকে উপজেলা পরিষদে এসে দায়িত্ব পালন করেন তাদের রাস্তায় গুলি করে হত্যার কথাও বলছেন সংগঠনের নেতা পরিচয় দেয়া মহিউদ্দিন ও বিপ্লব নামের দুই চাঁদাবাজ। গত কয়েক দিনে একের পর এক হুমকি ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের ৫ কর্মকর্তা শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানায়, গত ৩ মে সর্বহারা গ্রুপের পরিচয় দিয়ে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে ৩ লাখ ও একই অফিসের মাঠ সহকারী জাহাঙ্গীর মোল্লার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জানানো হয়, সর্বহারা দলের কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে তাদের বাসার সমনে অবস্থান করছে। দ্রুত চাঁদা পরিশোধ করা না হলে তাদের বাসায় হামলা করা হবে। ভয়ে তারা ০১৯৯৩৯০৩২৩৭ নম্বরে ১৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু রেজোয়ানের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ফোন আসে। একইদিন দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের কাছে ৪ লাখ ও একই অফিসের খাদ্য পরিদর্শক হাসিনা মমতাজের কাছে দুপুর দুটার দিকে সর্বহারা পার্টি পরিচয়ে ৪ লাখ টাকা দাবি করে ফোন করা হয়। চাঁদা পরিশোধ করা না হলে এই দুজনকে ঢাকা থেকে শ্রীনগর আসার পথে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বাকিদের জানানো হয় চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সন্তানদের অপহরণ করা হবে। একযোগে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি ও আদায়ের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
×