ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের কোলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৬ মে ২০১৭

কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের কোলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

পান্থনিবাস বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া, ৫ মে ॥ পাহাড়ের নিচে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় শত শত পরিবার বসবাস করছে। কাপ্তাই ঢাকাইয়্যা কলোনি এলাকায় শত শত পরিবার বিপজ্জনক অবস্থানে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। পাহাড়ের কোলে আড়াআড়িভাবে শত শত বাড়ি গড়ে উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের পুনর্বাসন করেনি কর্তৃপক্ষ। পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতরের পক্ষ থেকে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনি সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া ঝুঁকিপূণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, নতুনবাজার এলাকার কার্গোর নিচে, কাপ্তাই শিল্প এলাকা, হরিণছড়া, চিৎমরম, ব্যাঙছড়ি, ওয়া¹া, শিলছড়ি, নুনছড়ি, দোলন্যা, বটতলী, পাগলীপাড়া, বরইছড়ি সদরের বারঘোনিয়া এলাকা, রেশমবাগান, চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা, মধুছড়ি, রাইখালী, নোয়াপাড়া, কারিগরপাড়া, ভালুইক্যাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছে। বারঘোনিয়া এলাকার ফোরকান বলেন, কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের কোলঘেঁষে বারঘোনিয়া বন স্টেশনের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে ১৫-২০টি বসতবাড়ি। প্রভাবশালীরা পাহাড় কেটে বিশাল ইমারত নির্মাণ করছে। চলতি মৌসুমে নতুন করে পাহাড় কেটে বিশাল ভবন নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শুধু কাপ্তাইয়ের ঢাকাইয়া কলোনিতে একটি ঘোনাতে বাস করছে ৬০০ পরিবার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠছে। কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়িতে এক থেকে দেড় বছর আগেও যেসব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে কোন বসতি ছিল না সেখানে এখন শত শত পরিবার ঘর তুলে বসবাস করছে। কাপ্তাই উপজেলা সদরের আশপাশে বড়ইছড়ি, কর্ণফুলী কলেজ ও কর্ণফুলী নূরুল হুদা কাদেরী স্কুলের সামনের পাহাড়ে শত শত পরিবার বসবাস করছে। পাহাড়গুলো এতটাই খাঁড়া যে, কাপ্তাই-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দেখতেও ভয় লাগে। খাঁড়া পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। মোটরের সাহায্যে প্লাস্টিকের মোটা পাইপে ঘরে ঘরে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
×