ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী প্লেন ডানা মেলছে আকাশে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৬ মে ২০১৭

চীনে তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী প্লেন  ডানা মেলছে আকাশে

চীন এ সপ্তাহে স্থানীয়ভাবে তৈরি যাত্রীবাহী জেটের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা রয়েছে। ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ পর্যটন চাহিদা মেটাতে এবং বোয়িং ও এয়ারবাসের প্রভাব চ্যালেঞ্জের লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খবর এএফপির। চীনের রাষ্ট্রীয় বিমান তৈরি প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্র্যাফট কর্পোরেশনের (কোমাক) তৈরি সি নাইনওয়ান নাইন বিমানের শুক্রবার সাংহাইয়ের আকাশে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন চালানো হবে। সরকারী সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া এ কথা বলেছে। কোমাক বলেছে, আবহাওয়া ভাল না থাকলে এ নতুন বিমান উড্ডয়ন কর্মসূচীর পরিবর্তন করা হবে। কর্পোরেশন আরও বলেছে প্রকৌশলীরা বিমানটির প্রায় ১শ’ ১৮টি পরীক্ষাসম্পন্ন করেছেন এর মধ্যে। ইউরোপীয় কনসোর্টিয়াম এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বোয়িং বিমানের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রায় এক দশকের চেষ্টায় এ ছোট আকৃতির জেটটি নামানো হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি পাবলিকেশন ফ্লাইটগ্লোবালের এশিয়া বিষয়ক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক গ্রেগ ওয়ালড্রোন বলেছেন, বিমানের এ প্রথম উড্ডয়ন কোন বিশাল বিষয় নয়। কিন্তু চীনের বিমান চলাচল শিল্পের বিবর্তনে এটি এক বিশাল প্রতীকী মুহূর্ত। সি নাইনওয়ান নাইন দেশের প্রথম বড় যাত্রীবাহী বিমান এবং চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চ আকাক্সক্ষা ও কারিগরি দক্ষতার সাম্প্রতিক প্রতীক। চীন এক সপ্তাহ পর এর প্রথম স্থানীয়ভাবে তৈরি বিমানের উড্ডয়ন যাত্রা শুরু করবে। সি নাইনওয়ান নাইনে ১শ’ ৬৮ যাত্রীর আসন থাকছে এবং এত উড্ডয়ন মাত্রা থাকছে ৫ হাজার ৫শ’ ৫৫ কিলোমিটার। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্র্রান্সপোট এ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বলেছে, চীনের পর্যটন বাজার ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এয়ারবাসের হিসাব মতে। আগামী দু’দশকে চীনের জন্য প্রয়োজন হবে ৬ হাজার নতুন বিমান যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পড়ার কথা ৬ হাজার ৮শ’ বিমান। মালয়েশিয়া ভিত্তিক এভিয়েশন কনসালটেন্সি এনদাউ এনালিটিকসের বিশ্লেষক শুকোর ইউসোফ বলেছেন, এ নতুন বিমানের সূচনা চীনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
×