ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংশয়ের দোলাচলে ১৭ শতাংশ ভোট

ফ্রান্সের নির্বাচনে এখনও ম্যাকরনের পাল্লা ভারি

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৬ মে ২০১৭

ফ্রান্সের নির্বাচনে এখনও ম্যাকরনের পাল্লা ভারি

ফ্রান্সে ৭ মের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার বেশ জমে উঠেছেÑ একদিকে চরম ডানপন্থী নেত্রী মেরি লি পেন অপরপক্ষে ইমানুয়েল ম্যাকরন। প্রথমজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং তার রাজনীতির ভিত্তিটাও মজবুত এবং দ্বিতীয়জনকে রাজনীতিতে নবাগত বললেই চলে। ম্যাকরন মূলত, একজন ব্যাংকার ছিলেন এবং কিছুদিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দুইজনের মধ্যে গত বুধবার দুই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী এক টেলিভিশন বিতর্কে দেখা গেছে, অধিকাংশ দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাকরনের অনুকূলে রয়েছে। দুই প্রার্থীই মূলত, প্রথম দফা নির্বাচনে দোদুল্যমান ১৭ শতাংশ ভোটারকে নিজের দিকে টানতে চেয়েছেন। ফ্রান্সের ভবিষ্যত পথচলা নিয়ে দুইজনের মতামত ছিল পরস্পরবিরোধী। একজন অভিবাসীবিরোধী ও ইইউ জোট ছাড়ার পক্ষে, অপরজন অভিবাসীদের প্রতি নমনীয় ও ইইউ জোটভুক্ত থাকার স্বপক্ষে। বিতর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লি পেন, ম্যাকরনের সমালোচনা করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন। তবে ম্যাকরন অর্থনীতি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেয়া লি পেনের যুক্তি খুব সহজেই খ-ন করেন। যার প্রেক্ষিতে এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ ভোটার ম্যাকরনকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে তাদের অবস্থা ব্যক্ত করেছেন। ফ্রান্সের বিএফ, এমটিভি এই দুইজনের টেলিভিশন বিতর্ক প্রত্যক্ষ করেছে এমন ১ হাজার ৩১৪ জনের ওপর পরিচালিত জরিপে এসব তথ্য প্রকাশ করে। লিবারেশন সংবাদ সংস্থা অভিযোগ করেছে, লি পেন পাহাড়সম ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ম্যাকরনকে আক্রমণ করেন। সে সঙ্গে লি পেনের আনীত মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত অভিযোগের এক তালিকাও তারা প্রকাশ করে। ম্যাকরন বা লিপেন কেউ ফেবারিট নন ॥ ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। প্রথম দফা ভোটে উগ্র ডানপন্থী মেরি লিপেনকে পেছনে ফেলে মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাকরন এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফা ভোটে কে জিতবেন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ মাসের ৭ তারিখ দ্বিতীয় দফা ভোট হচ্ছে। প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ক্যাফেতে লুই নামে একজন ওয়েট্রেস। তিনি বলছিলেন, প্রথম দফা ভোটে তিনি ম্যাকরনকে সমর্থন দিলেও দ্বিতীয় ভোটে তিনি মত পরিবর্তন করতে পারেন। হতে পারে তিনি ম্যাকরন বা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিপেনকে নাও ভোট দিতে পারেন। প্রথম দফা ভোটকে দেখা হচ্ছে ফ্রান্সে রাজনৈতিক ভূকম্পন হিসেবে দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিকান বা সোশ্যালিস্ট কোন দলই ভাল করতে পারেনি। অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, প্রথম দফা ভোটে যেমন দ্বিতীয় দফা ভোটেও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেন ফরাসী ভোটাররা। -নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি
×