ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২০ বছর পর কাবুলে ফিরলেন যুদ্ধবাজ নেতা হেকমতিয়ার

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৬ মে ২০১৭

২০ বছর পর কাবুলে ফিরলেন যুদ্ধবাজ নেতা হেকমতিয়ার

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আটমাস পর ফিরেছেন প্রবীণ যুদ্ধবাজ নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। হেকমতিয়ার ‘কাবুলের কসাই’ নামে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ইসলামপন্থী এ নেতার বিরুদ্ধে নৃশংসতার বহু অভিযোগ রয়েছে। তিনি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র দল হেজব-ই-ইসলামির নেতা। খবর বিবিসির। ১৯৮০’র দশকে সোভিয়েত বিরোধী মুজাহিদবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। ১৯৯০ দশকে গৃহযুদ্ধের সময় কাবুলে হাজারও মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ১৯৯৬ সালে তালেবান জঙ্গীরা কাবুল দখলের পর পালিয়ে যাওয়া হেকমতিয়ার প্রায় ২০ বছর পর সেখানে ফিরলেন। হেজব-ই-ইসলামির সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তিচুক্তি সইয়ের ফলে বছরের পর বছর ধরে পলাতক থাকা হেকমতিয়ারের জন্য রাজনৈতিকভাবে আফগানিস্তানে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়। শান্তিচুক্তির আওতায় হেকমতিয়ার সংবিধান মেনে নিয়ে সহিংসতা পরিহারে রাজি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাকে জালালাবাদ থেকে কড়া নিরাপত্তায় আফগান সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাবুলে হেকমতিয়ার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেকমতিয়ারকে আধুনিক আফগান ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবেই দেখেন। তার সঙ্গে সরকারের শান্তিচুক্তিকে অনেকেই আফগানিস্তানের জন্য একধাপ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকে মনে করছেন এ চুক্তি সরকারে বিভক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। সমালোচকরা বলেছেন, তালেবান জঙ্গীরা তার ডাকে সাড়া নাও দিতে পারে। তাছাড়া, তিনি দেশে ক্ষমতার লড়াইয়ে আরেকজন রাজনৈতিক খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু সরকার হেকমতিয়ারের সঙ্গে চুক্তিকে সাফল্য হিসেবেই দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের আশা, হেকমতিয়ারের অধীনে একসময় কাজ করা তালেবান কমান্ডাররা তার কথা শুনবে। হেকমতিয়ার ওই তালেবান কমান্ডারদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে তালেবান গোষ্ঠীকে সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আনতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৩ সালে হেকমতিয়ারকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। তার সঙ্গে তালেবান ও আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করে তারা।
×