ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নূরুল করিম নাসিম

এডওয়ার্ড সাঈদের শেষ লেখা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৫ মে ২০১৭

এডওয়ার্ড সাঈদের শেষ লেখা

এডওয়ার্ড সাঈদ মারা গেলেন ২৫ সেপ্টেম্বরে ২০০৩ সালে। কিন্তু মৃত্যুর এক মাস আগে আগস্টে তিনি সস্ত্রীক ইউরোপে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি ওয়ার্কশপে সাঈদ একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছিলেন। তারপর গেলেন পর্তুগালে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিন সপ্তাহ ধরে তার প্রচ- জ্বর ছিল শরীরে তারপর তিনি একটু সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেদিন সকালবেলা নাশতার টেবিলে স্ত্রী মারিয়ামকে বলেন, ‘আজ আমি ঐটগঅঘওঝগ অঘউ উঊগঙঈজঅঞওঈ ঈজওঞওঈওঝগ বইটির ভূমিকা ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার পৃষ্ঠাটি লিখে ফেলব এবং ঙঝখঙ ঞঙ ওজঅছ অঘউ ঞঐঊ জঙঅউ গঅচ আগামী রবিবারের মধ্যে শেষ করে ফেলব। তারপর আমি ব্যস্ত হয়ে পড়ব খঅঞঊ ঝঞণখঊ বইটি নিয়ে; এটা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতেই হবে।’ সৃষ্টিশীল মানুষ, বিশেষত এডওয়ার্ড ডব্লুউ সাঈদের মতো দার্শনিক মানুষের লেখালেখি নিয়ে যে বিশাল স্বপ্নের রোডম্যাপ ছিল, তা তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। তার স্ত্রী মারিয়াম সদ্য প্রকাশিত ঙঘ খঅঞঊ ঝঞণখঊ গ্রন্থের প্রস্তাবনার এক জায়গায় লিখেছেন, ‘এই বইটির যে অপরিমেয় মালমসলা সাঈদ রেখে গেছেন, তা দিয়ে এই মৃত্যু পরবর্তী বইটি প্রকাশ করা যেতে পারে। তার স্ত্রী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরও বলেছেন, ‘লেখক, সঙ্গীতকার ও শিল্পীই জীবনের শেষ পর্বের কাজগুলো তাদের শেষ জীবনের শৈলী বিষয়ে ১৯৮০ সাল থেকে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন এবং আমাদের আলাপচারিতায় এ বিষয় আসত। এ সময় থেকেই তিনি এ বিষয়ে উৎসাহিত হন এবং পড়াশোনা শুরু করেন। এ বিষয়টি তিনি তার সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই আলাপ করতেন। এ সময়ে লেখা সঙ্গীত এবং সাহিত্যবিষয়ক একাধিক প্রবন্ধে এ বিষয়ের তিনি অবতারণা করেন। তথ্য, উপাত্ত এবং উদাহরণ হিসেবে এ বিষয়টি তার এ সময়কার লেখায় এসেছে। তিনি এমনকি বিষয়ভিত্তিক বেশকিছু প্রবন্ধ লিখেছেন লেখক ও সঙ্গীত শিল্পীদের শেষ জীবনের ওপর। খঅঞঊ ঝঞণখঊ-এর ওপরে প্রথমে কলম্বিয়া এবং পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তিনি সিরিজ বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯৯০ সালে এ বিষয়ে তিনি ক্লাসও নেন। শেষাবধি তিনি মনস্থ করেন এ বিষয়ে তিনি একটি বই লিখবেন। তার হাতে একটি চুক্তিও ছিল।’ এডওয়ার্ড সাঈদের বিশ্বস্ত সহকারী ছিলেন সান্ড্রা ফাহি। শেলী ওয়াগনার ছিলেন সম্পাদক। ছাত্র যিনি নোট নিতেন, তার নাম এন্ড্রু রুবিন।
×