রবীন্দ্রনাথ, তোমাকে আমার যথেষ্ট দূরের কাউকে
মনে হয়——দূরের কাউকে; হাত বাড়ালেই
ধরা যায় না এমন এক শীর্ষ শালের মগডালে
অভিজাত পত্রপুট———-
অথচ তোমাকে যদি ভাবতে পারতাম তুমি
কৃষকের কেউ, রৌদ্রের মাঠ; বস্তির ঘর
ধান কাটতে গিয়ে দেখা শূন্য ক্ষেতে বন্যায়
তলিয়ে যাওয়া দুঃখ দৃশ্য শূন্য থালায়
উদগত ভাতের গন্ধ
অথচ ভাবতে ভাল লাগে তুমিতো মনের আকাশে বড় ঝড় তুলে
চেতনায় চৈতন্যের অগ্রগামী এক কালের রাখাল
ফুল পাখি নিয়তির মতো অনিবার্য তোমার
রচিত চিঠির পঙ্ক্তিতে উদ্ভাসিত এক
অজানা আকাশ
আর বদলানোর জন্য প্রয়োজন যে আগুনের শিখা
ডুবে যাওয়া কৃষি পণ্যের পাশে মজবুত বাঁধ
তোমার সমবায় ব্যাংক তোমার অন্তর্গত
চিন্তার মতোই সত্য—-আমার ভেঙ্গে পড়া
বিশ্বাসের মতোই একটি পোড়ো বাড়ি, আমার
ডুবে যাওয়া নিঃশ্বাসের মতোই ভোরের উঠান
দেহ এবং দেহাতিরিক্ত ঝড়ের পাখি
প্রসন্ন সকাল, মানবিক উত্তরণ।
শীর্ষ সংবাদ: