ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যান্টার্কটিকার রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্যভেদ

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৫ মে ২০১৭

এ্যান্টার্কটিকার রক্তবর্ণ জলপ্রপাতের রহস্যভেদ

এ্যান্টার্কটিকার ‘ব্লাড ফলস’-এর রহস্য উদ্ঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। এ্যান্টার্কটিকার জমাটি ঠা-ার মধ্যেও কিভাবে এই জলপ্রপাতের উদ্ভব তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, জলপ্রপাতের জল লাল হওয়ার কারণ কী সেটা নিয়েও গবেষণা চলছিল। অনেকের ধারণা, লাল রঙের শ্যাওলার কারণে জলের রং লাল বা অক্সিডাইজড আয়রনই এর জন্য দায়ী! এ্যান্টার্কটিকার ম্যাক মারডো শুষ্ক উপত্যকায় পাঁচতলা সমান উঁচু এই জলপ্রপাতটি ১৯১১-তে আবিষ্কার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ গ্রিফিথ টেলর। জলের রং নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও, ব্লাড ফলসের উৎস নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছিল। সম্প্র্রতি ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের এক দল গবেষক ব্লাড ফলসের উৎসস্থল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জলপ্রপাতটির মূল উৎস একটি নোনা জলের হ্রদ। যেটা ৫০ লাখ বছর ধরে টেলর হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে বিজ্ঞানীরা রেডিও-ইকো সাউন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এই প্রযুক্তির সাহায্যে হিমবাহের নিচে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন হিমবাহের নিচে তরল অবস্থায় থাকা এই বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব। প্রশ্ন উঠছে হিমবাহের নিচে কী ভাবে হ্রদের জল তরল অবস্থায় রয়েছে? হিমবাহ বিজ্ঞানী এরিন পেতিতের মতে, জমে যাওয়ার আগে জল তাপ ছাড়ে। সেই তাপ নোনা জলকে জমতে দেয় না। ফলে ওই তাপমাত্রাতেও জল তরল অবস্থাতেই থেকে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানান, লৌহ সমৃদ্ধ হ্রদের জল অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসছে, তখনই সেটা লাল রঙের হয়ে যাচ্ছে। ফলে টেলর হিমবাহের গায়ে রক্তবর্ণের মতো দাগ তৈরি হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, ডয়েচ ভেলে
×