ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৫ মে ২০১৭

উবাচ

কেষ্টা বেটাই চোর? স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনীতির প্রয়োজনের কত কথাই বলতে হয়। কত উদাহরণ টানতে হয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা বা নিজেদের দোষ ত্রুটি অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য। অথবা বিজয়ী হতে। মনে হয় এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। যেমন হয়েছে বিএনপি মহাসচিবের ক্ষেত্রে। বিএনপির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতাকে থেকে অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করে সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক কলেজ শিক্ষক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হাওড়ে অকাল বন্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, গিয়ে কিছু ত্রাণের কাজ করে এসে উল্টো আবার বিএনপিকে দোষারোপ করলেন। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে, যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন ‘কেষ্টা বেটাই চোর’। সবকিছুতেই বলতে চান যে বিএনপিই এ জন্য দায়ী। হাওড়ে বন্যার মধ্যে হাওড় উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়টি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘এরা এই দেশটাকে মনে করছে তাদের একটা বিনোদনের জায়গা। এখান থেকে তারা অর্থ উপার্জন করবে, আর বিদেশে ঘুরবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব তো বলেই দিয়েছেন, যা আয়-টায় করছো, তা নিয়ে তো বিদেশে পালিয়ে যেতে হবে, এখানে থাকতে পারবে না, যদি দলকে ক্ষমতায় রাখতে না পার।’ বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় ঘরে তুললেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে তা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ফখরুল। তিনি বলেছেন, আপনারা রেফারি-লাইন্সম্যানসহ সবাই অত্যন্ত সুন্দরভাবে খেলবেন, গোল দিয়ে যাবেন, আর আমাদের খেলতে দেবেন না- এই খেলা হবে না। একতরফা খেলা হবে না, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া খেলা হবে না। আঁচলে আশ্রয়! স্টাফ রিপোর্টার ॥ আঁচলে আশ্রয়। বহু পুরনো সামাজিক প্রবাদ। অভিভাবক হিসেবে কাউকে নিরাপদ পরিবেশে রাখা এমন চিন্তা থেকেই হয়ত এ কথাটি আসছে। তবে সবটুকুই ইতিবাচক অর্থে। সময় বদলেছে। সামাজিক পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। তাই হয়ত ‘আঁচলে আশ্রয়’ দেয়া বা রাখার বিষয়টি এখন নেতিবাচক অর্থেও ব্যবহার হচ্ছে। তাই হয়ত আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, জঙ্গী যারা আছে তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল খালেদা জিয়ার আঁচল। তার আঁচলের নিচেই এরা নিরাপদ।’ অর্থাৎ সন্ত্রাসীরাও এখন আঁচলে থাকার সুযোগ পায়। রাজনীতিতে বহুদিন ধরেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদ মদদের অভিযোগ। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুতো প্রতি বক্তৃতায়ই বলেন, আগুন সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের নেতা খালেদা জিয়া। আর বিএনপি হলো জঙ্গী উৎপাদনের প্রজনন কেন্দ্র। তাই বাংলাদেশ থেকে বিএনপি তথা খালেদা জিয়াকে উৎখাত করতে না পারলে জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা থামবে না। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সন্ত্রাস-জঙ্গীগোষ্ঠীর মদদদাতা বেগম খালেদা জিয়া। তার মদদেই ৫ মে তা-ব হয়, জঙ্গী হামলা হয়, পবিত্র কোরআন শরীফ বিক্রির দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়, এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করা হয়। এইসব সন্ত্রাসীদের আঁচলের নিচে আগলে রাখেন খালেদা জিয়া। যতদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত এই দেশ সন্ত্রাস মুক্ত করা যাবে না।’ তাঁর আশীর্বাদ চাই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুভ কাজে আশীর্বাদ পাওয়ার ইতিহাস বহুদিনের। কিন্তু প্রবীণ এক রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদ ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, এটা হয়ত অনেকটাই নতুন। রাজনীতির মাঠে সেই ‘টুটকা’ নেতাকে নিয়ে এখন সরব আলোচনা। তিনি কে। যদিও যার কথা বলা হচ্ছে তিনি নিজেকে টুটকাদার হিসেবে সরাসরি জাহির করছেন না। তবে রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা বারবার বলছেন সেই নেতার কথা। রাজনীতির মাঠে গুরুত্ব বাড়াতে এটাই হয়ত নতুন নেতা এরশাদের। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি জোটগতভাবে লড়াই করবে। আগামী ৭ মে আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যজোট গঠিত হবে। এই জোট হবে ক্ষমতায় যাওয়ার নিয়ামক শক্তি। বরাবরের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পল্লীবন্ধু এরশাদের আশীর্বাদ ছাড়া কোন দল এককভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটা নিশ্চিত। একথা এরশাদের পক্ষ হয়ে বারবার প্রচার করে যাচ্ছেন বাবলা। হয়ত এরশাদও এমন তেলে বেজায় খুশি হচ্ছেন। কারণ তেলের রাজনীতি অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু কটি দলকে আশীর্বাদ দেবেন তিনি। এরশাদ নিজেও বলেছেন, একক নির্বাচন করবেন। এজন্য দলও গোছাচ্ছেন। নাম সর্বস্ব দল নিয়ে স্মরণকালের জোটও ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। তাহলে অন্য দলগুলোকে আশীর্বাদ করার সময় কোথায়। বাস্তবতা এমন যে নিজের জন্যই সব সময় নিজের আশীর্বাদ করা ছাড়া বিকল্প নেই। গত সপ্তাহে দলের এক সভায় বাবলা আরও বলেন, আমরা আলাদা জোট গঠন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী ৭ তারিখের পর পল্লীবন্ধু এরশাদের নতুন রাজনৈতি জোটের কথা দেশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে, গ্রাম-শহরে এরশাদের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।
×