ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তাসহ সব নদীর পানি সমস্যা সমাধানে মোদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ॥ তথাগত রায়

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৫ মে ২০১৭

তিস্তাসহ সব নদীর পানি সমস্যা সমাধানে মোদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ॥ তথাগত রায়

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে দ্রুত সমাধানে জোরালো আওয়াজ তুলেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি বলেছেন, নিম্ন অববাহিকা হিসেবে বাংলাদেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। আমরা কোনভাবেই এটা এড়াতে পারি না। বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও অন্য নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টি সমাধান করতে মোদিজী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজ হোক, কাল হোক- এটা ঘটবেই। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার সোনামুরা জেলায় বক্সানগর প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীর ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সাবেক এ সভাপতি। তিস্তা নিয়ে ‘অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা’ থাকলেও শীঘ্রই সেগুলোর সমাধান হবে বলে জোর দিয়ে বলেন তথাগত রায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও অন্য নদীর পানিবণ্টনের বিষয়টি সমাধান করতে মোদিজী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজ হোক, কাল হোক- এটা ঘটবেই। কারণ এটা দলীয় বিষয় নয়, এটার সঙ্গে সার্বভৌম ভারতের প্রতিশ্রুতি জড়িত আছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা ও ভারতীয় সেনাদের ঘাতক পাকিস্তানের সঙ্গে যদি সিন্ধু নদের পানি নিয়ে চুক্তি করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের মতো দীর্ঘদিনের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশীর সঙ্গে চুক্তিতে রাজি না হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। তিস্তাচুক্তি নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার বিষয়ে বাংলাদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তথাগত বলেন, ভারতের একটি রাজ্যের রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদে থাকার কারণে রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারব না। তবে আমি নিশ্চিত করে বলি, নিম্ন অববাহিকা হিসেবে বাংলাদেশকে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না কোনভাবেই। গত এপ্রিলে দিল্লীতে হাসিনা-মোদি বৈঠকের পর প্রথম কোন সিনিয়র একজন বিজেপি নেতার কাছ থেকে এ রকম জোরালো বক্তব্য এলো। সাংবিধানিক পদে থাকায় কোন রাজনৈতিক নেতাকে আক্রমণ না করেও তিনি ইঙ্গিত দেন, মোদির বিজেপি নেতারা তিস্তাচুক্তি নিয়ে মমতার বিরোধিতায় নাখোশ। বাংলাদেশী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তথাগত বলেন, আমরা অবশ্যই পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিটি এদিক-সেদিক করতে পারি। কিন্তু কিভাবে কেউ বলেন যে, বাংলাদেশের জন্য তিস্তায় পানি নেই। সন্ত্রাস মোকাবেলা, ভারতবিরোধী বিদ্রোহীদের ছুড়ে ফেলা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে দেয়ায় শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি ভারত চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে, উভয়ই ভারতের বড় বন্ধু। এখন বাংলাদেশ কী চায় তা আমাদের দেয়ার পালা। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা তাদের অধিকার। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের প্রক্রিয়ায় যারা বিঘœ সৃষ্টি করতে চান তাদের আক্রমণ করে তথাগত বলেন, যারা পাকিস্তানকে খুশি করতে চায় তারাই তিস্তার মতো চুক্তি ভ-ুল করতে চায়। কারণ, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব কোন নতুন উচ্চতায় যাক তা পাকিস্তান চায় না। ‘জয় বাংলা, জয় হিন্দ’ বলে কথা শেষ করেন তথাগত।
×