ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিলমারীতে ঝড়ে ২ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৫ মে ২০১৭

চিলমারীতে ঝড়ে ২ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চিলমারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে জমির ধান, গাছপালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক অসহায় মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এসব এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে চিলমারী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের তা-বে থানাহাটের মাছাবান্দা, সবুজপাড়া, নয়ারহাটের বজড়া, দিয়ার খাতা, খেরুয়া, অষ্টমীরচরের মাইচবাড়ি, মুদাফৎকালিকাপুর, রমনার পাত্রখাতা, বাঁধরাস্তা, রানীগঞ্জ, চিলমারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার বাড়িঘর ল-ভ-সহ ধান ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলার মাচাবান্দা, নামাচর, উত্তর মাচাবান্দা, পাত্রখাতা, মুদাফৎথানা, পেদিখাওয়ার বিল, রাণীগঞ্জসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরসহ শত শত গাছপালা ল-ভ-সহ ইরি-বোরোর ক্ষেত হেলে পড়েছে। কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি মেরামত করতে না করতেই আবারও কালবৈশাখী হানা দিয়েছে এসব এলাকায়। ফলে কালবৈশাখীর তা-বের শিকার এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। কিন্তু পরপর দু’বার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ এখন পর্যন্ত কোন সরকারী বা বেসরকারী সহযোগিতা পায়নি। ঝড়ে পেকে যাওয়া ধান হেলে পড়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেব জানান, আমার ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে শত শত বাড়িঘর ল-ভ- হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান আজগর আলী বলেন, ঝড়ে তার ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই কথা জানান অন্য ইউপির চেয়ারম্যানগণ। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় বুধবার রাত থেকে উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
×