ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুর বোর্ডে শতভাগ পাস ১৬৬ স্কুলে

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৫ মে ২০১৭

দিনাজপুর বোর্ডে শতভাগ পাস ১৬৬ স্কুলে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৮। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। গতবারের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। ১৬৬ বিদ্যালয়ের শতভাগ পাসের রেকর্ড হয়েছে। কেউই পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১টি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান। মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭২ ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩০। আর ছাত্রী পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩৪ ছাত্র ও ২ হাজার ৯৯৫ ছাত্রী। গতবারের তুলনায় এবার ১৯৭০ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগে ৭১ হাজার ১৭৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৫ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৯ ছাত্র ও ২৭ হাজার ৬১৫ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯২ দশমিক ২০ ভাগ। মানবিক বিভাগে ৮৬ হাজার ২০৫ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৫৪৮ ছাত্র ও ৩৮ হাজার ৮৬৮ ছাত্রী। বিভাগওয়ারি পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৪ ভাগ। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৬ হাজার ১৮৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮০৬ ছাত্র ও ১ হাজার ৫১৬ ছাত্রী। বিভাগের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৯। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬হাজার ৮০৭ জন। এখানে ৩ হাজার ৮৮৩ ছাত্র ও ২ হাজার ৯২৪ ছাত্রী। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন। এর মধ্যে ৪৭ ছাত্রী ও ১২ ছাত্র। ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ৬৩ জন। এর মধ্যে ৩৯ ছাত্র ও ২৪ ছাত্রী। কেউই পাস করেনি এমন ১টি বিদ্যালয় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এবার শতভাগ পাস করেছে এমন স্কুলের সংখ্যা ১৬৬টি। গতবার এর সংখ্যা ছিল ২৬৯টি। শীর্ষে নীলফামারী জেলা রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে নীলফামারী জেলা। রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে নীলফামারী জেলার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯৬। এই জেলার ১৫ হাজার ২৫৭ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫০ জন। রংপুর জেলার পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৭ ভাগ। এই জেলার ২৫ হাজার ৯৯৭ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ১৭০ জন। গাইবান্ধা জেলার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। ১৯ হাজার ৪৮৫ উত্তীর্ণ ও ৭৩০ জিপিএ-৫ পেয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৫ ভাগ। ১৬ হাজার ৪৬ উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪৮ জন। ঠাকুরগাঁও জেলার পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৮ ভাগ। ১৩ হাজার ৯১৮ উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩৮ পরীক্ষার্থী। লালমনিরহাট জেলার পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৯ ভাগ। ১০ হাজার ৪৪৭ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৮ জন। পঞ্চগড় জেলার পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৭ ভাগ। ৯ হাজার ৩৮ উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৬ জন। দিনাজপুর জেলার পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৫ ভাগ। ২৭ হাজার ১৭৪ উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৯ পরীক্ষার্থী।
×