ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিউরিয়াস শার্লিজ থেরন

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ মে ২০১৭

ফিউরিয়াস  শার্লিজ থেরন

সুমন্ত গুপ্ত ॥ শার্লিজ থেরন চলচ্চিত্র জগতে এক জনপ্রিয় নাম। ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেত্রী। একটি সুপরিচিত ফ্যাশন মডেল হিসেবে তার মূল কর্মজীবন এবং পরে অভিনয়ে যোগদান। ‘দৈত্য’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগারিতে অস্কার জিতেছেন। ছোট বেলায় অনেক সংগ্রাম করে বড় হতে হয়েছে তাকে। মদ্যপ বাবার হাতে প্রতিনিয়ত মাকে নির্যাতিত হতে দেখেছেন তিনি। সহ্যসীমা অতিক্রম করায় থেরনের মা গুলি করে হত্যা করেন তাঁর বাবাকে। মায়ের একা পথচলার প্রেরণাই থেরনকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এসে হলিউডের এক কাজের চেক পেয়েছিলেন থেরন। আফ্রিকান নাগরিক হিসেবে চেক ভাঙাতে পড়েন আরেক বিড়ম্বনায়, তবে সেখানেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। সেই তর্ক শুনেই এক প্রযোজক তাকে কাজের প্রস্তাব দেন এবং শুরু হয় হলিউডে পথচলা। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার অভিনীত ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস, ছবিটি দেখা হয়নি এমন মানুষ খুব একটা পাওয়া যাওয়ার কথা না। মনে আছে, ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস ছবির নায়ক পল ওয়াকার এবং ভিন ডিজেলের কথা? তাদের সেই মারাত্মক এ্যাকশন মুভি? ২০০১ সালের মুক্তি পাওয়া ছবিটি এখন পর্যন্ত ব্যবসা করেছে, ২০৭,২৮৩,৯২৫ ডলারের। এর পরেই বের হয়, টু ফার্স্ট টু ফিউরিয়াস। এতে বরাবরের মতো পল ওয়াকার থাকলেও ভিন ডিজেল ছিলেন অনুপস্থিত। ২০০৩ সালের মুক্তি পাওয়া ছবিটি এখন পর্যন্ত ব্যবসা করেছে, ২৩৬,৩৫০,৬৬১ ডলারের। এপ্রিল ২০০৯ এ মুক্তি পায়, এই সিরিজের চতুর্থ পর্বটি, এর নাম কিন্তু অনেকে অনেকটা বলেন, কেউ বলেন এর নামও ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস, কেউ বলেন এটা ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস ৪, কেউ বলেন, ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস- নিউমডেল, নিউপার্টস। যে যাই বলুক, এটাতে আমরা আমাদের পরিচিত মুখদের খুঁজে পাই। ছবিটিকে এই ফার্স্ট এ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস সিরিজের সব চাইতে ব্যবসা সফল ছবি হিসেবেও ধরা যায়। পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছে ‘দ্য ফার্স্ট এ্যান্ড ফিউরিয়াস-৮’। ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেটের এই ছবি প্রথম চার দিনেই আয় করেছে ৫৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছিলেন ‘স্টার ওয়ার্স দ্য ফোর্স এ্যাওয়েকেনস’ ছবি, যার বাজেট ছিল ৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
×