ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিচারের ভার গণমাধ্যমের ওপর ছেড়ে দিলাম ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৪ মে ২০১৭

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিচারের ভার গণমাধ্যমের ওপর ছেড়ে দিলাম ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন বক্তব্যের বিচারের ভার গণমাধ্যমের ওপর ছেড়ে দিলাম। প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দেব না। আমি কোন কথাই বলব না, এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই। যেসব বক্তব্য তিনি দিয়েছেন আপনারা গণমাধ্যম সেটার বিচার করবেন, দেখবেন। আমার যদি কোন বক্তব্য থাকে তাহলে আমি সেটা তার সামনেই দেব।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করতে যাচ্ছি। এটি এখন ভেটিং পর্যায়ে রয়েছে। এটা চূড়ান্ত হলেই আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারার দুর্বলতা এবং বিতর্ক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘ফ্রিডম অব প্রেস’-এ বিশ্বাসী। এমন কোন আইন হবে না যাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করতে যাচ্ছি। এটি এখন ভেটিং পর্যায়ে রয়েছে। এটা চূড়ান্ত হলেই আইসিটি এ্যাক্টের ৫৭ ধারার দুর্বলতা এবং বিতর্ক থাকবে না। এটি ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে চলে যাবে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই এ্যাক্ট-এর মাধ্যমে কেউ হয়রানির শিকার হবেন না। এটা আমি আপনাদের কথা দিতে পারি। আর সাংবাদিক রাজুকে গ্রেফতার এবং রিমান্ডের বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। আমি এটুকু বলতে পারি আপনারা ন্যায়বিচার পাবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘ফ্রিডম অব প্রেস’-এ বিশ্বাসী। এমন কোন আইন হবে না যাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়।’ টাকা পাচার সত্য হলে মানিলন্ডারিং আইনে বিচার ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৯৭ কোটি ডলার (৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি) পাচার হয়েছে বলে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক এই গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালÑ এই ১০ বছরে বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও অন্যান্য অবৈধ পথে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোজ টু এ্যান্ড ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ : ২০০৫-২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে জিএফআই। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মানিলন্ডারিং আইন রয়েছে। যদি টাকা পাচারের ঘটনাটি সত্য হয় তাহলে আমরা এই আইনেই এটির বিচার করতে পারব।’ আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশে একটি এ্যান্টি মানিলন্ডারিং এ্যাক্ট আছে। যদি এই রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এ আইনে বিচার হবে। এদিকে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ করতে কাজ করছে সরকার। কিভাবে দ’দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে বার্নিকাটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গী সমস্যা সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ’যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। ভাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথা আদান-প্রদান জরুরী। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের (বুধবার) বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
×