ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দা মৌরিন মাক্কিয়া

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৪ মে ২০১৭

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

সুনামগঞ্জের হাওড় অঞ্চলের মানুষ এখন মারাত্মক বিপদগ্রস্ত। মানুষজন বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন। হাজার হাজার কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে। হাজার হাজার টন মাছ মরে গেছে। বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে বিশাল এলাকা। সাধারণত পানি বৃদ্ধি পেলে মাছ ভাল থাকার কথা। কিন্তু সুনামগঞ্জের হাওড়ে দেখা গেল বিপরীতটি। বুঝতে বাকি নেই যে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের কারণেই এসব হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক কোন বিষয় ছিল না। পরিবেশ অসচেতন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত লোকের কারণে এরকম বিপর্যয় দেখা গেল সুনামগঞ্জের হাওড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন- ‘হাওড় অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এসব বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অবহেলা থাকলে তা ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি সুনামগঞ্জের অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এটাই আশা করেছিল সেখানের অসহায় মানুষ। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে এটাও খেয়াল রাখা দরকার সরকারের স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা যাতে হাওড়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরেও দেখা গেছে বিপর্যয়। সেখানে সামান্য বৃষ্টি হলে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন লাখো মানুষ। এটাও খতিয়ে দেখা দরকার, কাদের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে। যশোর এলাকাও একবার চরম জলাবদ্ধতায় পড়েছিল। তখন সীমাহীন অসহায় হয়ে পড়েছিল যশোরের অসংখ্য মানুষ। যশোরের জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এখনই উচিত জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া। তাদের গৃহীত বাস্তবমুখী পদক্ষেপ যেন অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয় সবার জন্য। হামিদপুর হাইস্কুল, যশোর থেকে
×