ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়ের প্লাবন কয়েকটি দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৪ মে ২০১৭

হাওড়ের প্লাবন কয়েকটি দাবি

হাওড়বেষ্টিত ৬ জেলা সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এক ফসলী বোরো ধান হাওড়ের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। আগাম বন্যার কারণে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাওড়ের লোকজন। শুধু তাই নয়, হাওড়বাসীদের ভিটে মাটি ছাড়া আজ অবশিষ্ট কিছু নেই। ভেসে গেল তাঁদের সাধের সোনার ধান। এদিকে ধান চাষ করতে গিয়ে অধিকাংশ কৃষকই ঋণ নিয়ে থাকেন। সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর কাছ থেকে। সব কিছু হারিয়ে কৃষকরা এখন নিঃস্ব সর্বহারা। ঋণের টাকা পরিশোধ করার ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া হাওড়বাসী চিকিৎসা, শিক্ষা, পোশাক-আশাক, বিয়ে-শাদি নিয়ে এখন শুধুই দু’চোখে দেখছেন দূরাশা-দুর্ভাবনা। এমতাবস্থায়-১। যারা সরকারী ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তা মওকুফ করে দেয়ার ঘোষণা চাই। ২। গরিব দিনভুখা যারা তাঁদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উজানে আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রিত হয়েছেন তাদেরকে চাল, ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে পুরো ১ বছর সাহায্য করা হোক। যাদের বাড়িঘর নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। ৩। আগামীতে হাওড়ে যে সকল বাঁধসহ রাস্তাঘাট, ব্রিজ নির্মাণ করা হবে তা সেনাবাহিনীকে দিয়ে করানো সমীচীন। কেননা, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দায়িত্বজ্ঞানহীন জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদাররা যে কি করেন তা দেশের জনগণ ভালো করেই জানেন ও বোঝেন। বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ লুটপাট করে খাওয়ার ঘটনা এখন কিংবদন্তি হয়ে আছে। ৪। হাওড়ের বাসিন্দাদেরকে বরাদ্দকৃত ত্রাণ যেন কেউ লুটপাট করে না নিতে পারে- এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি চাই। যারা ত্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন তাদের বিরুদ্ধে চাই কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। ৫। মাছ ধরার ব্যাপারে যে ইজারা প্রথা রয়েছে তা বাতিল করে আগামী ৫ বছর যাতে মাছ ধরার মৌসুমে কৃষক ও জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন- সে নির্দেশনাও দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ৬। মিডিয়ায় প্রকাশ, হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে, তাই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক। আমরা মনে করি- হাওড়ের মানুষের দাবি-দাওয়া হলো এগুলোই, তাই তাদের দাবি পূরণের বাস্তবায়ন দেখতে চায় মানুষ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রূপনগর, ঢাকা থেকে
×