ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিচার বিভাগকে পঙ্গু করবেন না ॥ বগুড়ায় প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ৩ মে ২০১৭

বিচার বিভাগকে পঙ্গু করবেন না ॥ বগুড়ায় প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থা মিইয়ে গিয়েছিল সেই আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে সবচেয়ে বড় বাধা আসছে প্রশাসন থেকে। বিচার বিভাগকে যখন মর্ডানাইজেশনের চেষ্টা করা হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে বলে আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যে কারণে বিচার বিভাগকে আধুনিকায়ন করা যাচ্ছে না। মানুষের আস্থা ফিরে না এলে অপরাধ বাড়তে পারে। প্রধান বিচারপতি সরকারের উদ্দেশে বলেন ‘বিচার বিভাগকে পঙ্গু করবেন না।’ প্রধান বিচারপতি মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সার্কিট হাউসে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বগুড়া জজশিপের সকল বিচারক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার, পাবলিক প্রসিকিউটর, গবর্নমেন্ট প্লিডার, জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, জেলা এ্যাডভোকেটস বার সমিতির নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা থেকে আসা অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় এই সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, সরকার কিছু আইন এত তাড়াতাড়ি করে যে বিচার বিভাগ ও আইন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করা হয় না। ফলে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ করা যায় না। দেখা যায় মেইন অর্ডিনেন্স সংশোধন করা হয়নি রুলস সংশোধন করা হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগে যে রুলস সংশোধন করা হয় তার সঙ্গে মূল অর্ডিনেন্সের মিল পাওয়া যায় না। এই বিষয়গুলো গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেন পাকিস্তানী আমলে কোন গণতন্ত্রই ছিল না। বাংলাদেশে প্রথম গণতন্ত্র আনেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে হত্যা করার পর অনেকটা সময় এই দেশে গণতন্ত্র ছিল না। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ পরিচালনা করছেন। তবে সংসদ সদস্যগণের মাধ্যমে পার্লামেন্টে যে আইন পাস করা হয় তার সূক্ষè বিষয়গুলো দেখা হয় না। বিচার বিভাগ এইসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে চাইলেও অনেক সময় তা করা হয় না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি নরেশ মুখার্জী, লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিষু, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মতিন প্রমুখ। প্রধান বিচারপতি বলেন তিনি সারা দেশ ঘুরে বিচার বিভাগের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
×