ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দশ মাসে বিশ জঙ্গী আস্তানায় সফল অপারেশন

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩ মে ২০১৭

দশ মাসে বিশ জঙ্গী আস্তানায় সফল অপারেশন

গাফফার খান চৌধুরী ॥ জঙ্গীদের ওপর আধিপত্য নিতে সমর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে সারাদেশে চলমান অভিযানে একের পর এক জঙ্গী আস্তানার সন্ধান মিলছে। গ্রেফতার হচ্ছে জঙ্গীরা। সোমবার রাতেও নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান গ্রেফতার হয়েছে। সাঁড়াশি অভিযানের মুখে গত প্রায় দশ মাসে সারাদেশে অন্তত ২০টি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অভিযানে নিহতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে জঙ্গীদের স্ত্রী ছাড়াও তাদের ছোট ছোট সন্তানও রয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহত জঙ্গীদের মধ্যে অন্তত ২০ জন আত্মঘাতী ছিল। তারা নিজেরাই নিজেদের হেফাজতে থাকা শক্তিশালী বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিশেষজ্ঞ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলরা বলছেন, গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গীদের আর কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। শুধু উত্তরা র‌্যাব সদর দফতরে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হামলা চালানোর আগেই পৃথক দুটি ঘটনায় দুই আত্মঘাতী জঙ্গীর মৃত্যু হয়। এরপর জঙ্গীদের আর কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। সাঁড়াশি অভিযানের মুখে জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক গুড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশ পুরোপুরি জঙ্গীবাদের ঝুঁকি থেকে প্রায় শতভাগ মুক্ত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের পরিবর্তে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের মাধ্যমে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চের। মঞ্চের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জঙ্গীরা হত্যা করে। এরপর থেকেই দেশে একের পর এক ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, সেবায়েত, পীর, ধর্মযাজক, ধর্মান্তরিত ব্যক্তি থেকে শুরু করে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ নৃশংসভাবে জঙ্গীদের হাতে খুন হতে থাকেন। এসব হত্যাকা-ের পর ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন আইএসের নামে দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলামের নামে বিবৃতি প্রকাশিত হতে থাকে। এমন চোরাগোপ্তা হামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। এভাবে অনেককে খুন হতে হয়েছে। রাজীব হত্যায় জড়িতরা গ্রেফতার হওয়ার পর হত্যাকা-ের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামের একটি জঙ্গী সংগঠনের জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ বের হয়। এরপর একের পর অভিযানে এসব হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত জঙ্গীরা গ্রেফতার হতে থাকে। হত্যাকারী অনেক জঙ্গীই অভিযানকালে নিহত হন। গত বছরের ১ জুলাই রাজধানীর অভিযান এলাকা ও কূটনৈতিক পাড়া হিসেবে পরিচিত গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গীরা হামলা করে বনানী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন খান ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ছাড়াও ১৭ বিদেশী ও তিন বাংলাদেশীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সরকার। সারা দুনিয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়। হত্যাকা-ের পর আইএসের নামে দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রকাশিত হয়। শেষ পর্যন্ত সেখানে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অভিযান চালান। অভিযানে পাঁচ জঙ্গীর মৃত্যু হয়। কমান্ডোরা জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিন বিদেশীসহ ১৩ জিম্মিকে। সব মিলিয়ে আগে ও পরে হলি আর্টিজান থেকে জিম্মি দশা থেকে ৩৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এমন ঘটনার পর বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা রয়েছে বলে গোটা বিশ্বে প্রচার প্রপাগান্ডা চলতে থাকে। আর তাতে মদদ যোগাতে থাকে দেশী-বিদেশী চক্রগুলো। তারা নানাভাবে বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা রয়েছে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, হলি আর্টিজানের তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাটি নব্য জেএমবি ঘটিয়েছে বলে বেরিয়ে আসে। সারাদেশে টানা অভিযান চলতে থাকে। এসব অভিযানে কয়েক শ’ জঙ্গী গ্রেফতার হয়। এর মধ্যে অন্তত সাড়ে সাত শ’ জঙ্গীর জবানবন্দী পর্যালোচনা করা হয়। সেই জবানবন্দীতেই মিলে জঙ্গীদের অবস্থান সম্পর্কে নানা তথ্য। সেই তথ্যের সূত্র ধরেই একের পর এক সন্ধান মিলতে থাকে জঙ্গী আস্তানার। ইতোপূর্বে ঢাকায় বেশ কয়েকটি আস্তানার সন্ধান মিলে। গত ৭ মার্চ কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের একটি চেকপোস্টে হামলাকালে গ্রেফতার হয় দুই জঙ্গী। দুই জঙ্গীর জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে নব্য জেএমবির আরও হামলার পরিকল্পনার তথ্য। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সীতাকু-ে দুটি জঙ্গী আস্তানার সন্ধান মিলে। সীতাকু- থেকে গ্রেফতারকৃত জঙ্গী দম্পতির তথ্য মোতাবেক মিলে সিলেটের আতিয়া মহলের জঙ্গী আস্তানার সন্ধান। সেখানে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল অভিযান চালায়। চলতি বছরের ১৫ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামের সীতাকু-, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, মৌলভীবাজারের বড়হাট ও নাসিরপুর এবং কুমিল্লার কোটবাড়ীতে পাঁচটি বাড়িতে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান মিলে। আস্তানাগুলোতে অভিযানে পাঁচ শিশু, পাঁচ নারীসহ ১৯ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৬ জনই আত্মঘাতী ছিল। প্রতিটি আস্তানা থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে ২৫ মার্চ সিলেটে জঙ্গীরা নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যেই জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। বোমা হামলায় নিহত হয় র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান আবুল কালাম আজাদ, পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ সাতজন। এছাড়া গত ১৭ মার্চ ঢাকার আশকোনায় র‌্যাব সদর দফতরের ব্যারাকে এবং ২৪ মার্চ আশকোনা পুলিশ বক্সের কাছে দুটি আত্মঘাতী হামলায় দুই আত্মঘাতী জঙ্গী নিহত হয়। সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ ও ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইটি জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। ঝিনাইদহের আস্তানায় কোন জঙ্গীকে পাওয়া যায়নি। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আস্তানাটি ছিল জঙ্গীদের বিস্ফোরকের ভা-ার বা স্টোর হাউস। অভিযানকালে চার জনের মৃত্যু হয়। তারা আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় অভিযান পরিচালনকারী পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান। আস্তানা থেকে নিহত জঙ্গী আবুর স্ত্রী ও এক সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অভিযান পরিচালনাকারীরা। জঙ্গী আস্তানা অভিযান সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, কোন কোন ঘটনায় কোন কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের জঙ্গীবাদে অর্থায়ন করার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সবক্ষেত্রে নয়। কোন কোন জঙ্গীকে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে সংগঠনে অর্থায়ন করার তথ্য মিলেছে। আবার কেউ কেউ চাকরি করে সংগঠনের তহবিল অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন। আবার বিদেশ থেকেও কিছু লোক জঙ্গী অর্থায়ন করে থাকে। যারা বিদেশ থেকে জঙ্গী অর্থায়ন করছেন, তারা বাংলাদেশী। এদের অনেকেই বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আবার অনেকেই চাকরি বা অন্য কোন কাজে বিদেশে থাকেন। জেএমবি জাল মুদ্রা ব্যবসার মাধ্যমে সংগঠনে অর্থায়ন করে থাকে। একটি বিশেষ দেশে জাল মুদ্রা তৈরি হয়। এর মধ্যে ভারতীয় জাল মুদ্রার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সম্পৃক্ততার কথা বিভিন্ন সময় তদন্তে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তাকে জঙ্গী অর্থায়নের দায়ে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে জঙ্গী অর্থায়নে সহযোগিতা করার অভিযোগে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে এবং একই বছরের শেষ দিকে ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তান। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অভিযানগুলোর পর জঙ্গীদের সক্ষমতা কিছুটা কমেছে। জঙ্গীদের কয়েকজন সংগঠক এখনও পলাতক। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে। সিলেটে জঙ্গী আস্তানা থেকে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো মানসম্মত নয়। হলি আর্টিজানে হামলার সময়ও তাদের কাছ থেকে একে-২২ এর মতো স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে মনে হচ্ছে, জঙ্গীদের অস্ত্রের ভা-ারেও টান পড়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশীদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ থেকে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। তবে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ঝুঁকি কমে এসেছে। প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতাই পারে বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে। তিনি আরও বলেছেন, জঙ্গীবাদ নির্মূলে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। জঙ্গী সংগঠনগুলোর একটি প্রচলিত নীতি রয়েছে, তা হচ্ছে তারা নতুন নতুন নামে সংঘটিত হয়। হালে নব্য জেএমবি আলোচনায় আসার পর তারা আবার নতুন কোন নামে সংঘটিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরী। এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ঘাঁটি গেড়ে বসবে। কারণ বিএনপি-জামায়াত জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা বললেও, কার্যত কোন পদ্ধতিতে তারা জঙ্গীবাদ দমন করবে, সে সম্পর্কে কোন ধারণা আজও জাতির সামনে তুলে ধরেনি। এছাড়া অতীতেও তাদের জঙ্গীবাদ দমনের তেমন কোন নজির লক্ষ্য করা যায়নি। বিএনপির সঙ্গে থাকা দলটির পাকিস্তানের সঙ্গে আগাগোড়াই সুসম্পর্ক। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে জঙ্গী রফতানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক কারণেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর বাংলাদেশ অধিকমাত্রায় জঙ্গীবাদের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পৃথিবীতে বিবেচিত হবে। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত জঙ্গীবাদী হামলার ধরন সন্ত্রাসবাদী হলেও সেখানে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা ছিল না। আত্মঘাতী বোমা হামলার ধারণা আধুনিক বিশ্বে প্রথম আনে শ্রীলঙ্কার এলটিটিই (দি লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলম)-এর ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ। তিনি ১৯৭৬ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির সংখ্যাগুরু সিংহলীদের জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। উল্লেখ্য, সিংহলীরা হলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। অপরদিকে তামিলরা হলেন হিন্দু ধর্মের অনুসারী। ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন। ওই বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধী ছাড়াও আরও ১৪ জন নিহত হন। রাজীব গান্ধীকে ফুলের তোড়া দিয়ে তাতে বোমা বসিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে হত্যা করেন তেনমোঝি রাজারতœম নামে এলটিটিই-এর এক মহিলা আত্মঘাতী সদস্য। এই সময় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল। এলটিটিই-এর মুখপাত্র অ্যান্টন বালাসিংহম এক বক্তব্যে ওই হামলার দায় স্বীকার করেন।
×