ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩ মে ২০১৭

 কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধান করে ঋণ সুবিধা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকল তফসিলী ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নির্দেশনা ও সুপারিশের আলোকে সরকার কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে, কাঁচাপাট রপ্তানিকারকদের ৩১ মার্চ ২০১৭ ভিত্তিক ঋণ হিসাবের স্থিতি নিরূপণপূর্বক দুইবছরের মরাটিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরের পরিশোধসূচি প্রদান করে ব্লক হিসেবে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া হালনাগাদ লেজার বকেয়া এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। ঋণঝুঁকি নিরসন কৌশলের আওতায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে জামানত গ্রহণ করতে হবে। ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত ঋণের ওপর কস্ট অব ফান্ড হারে সুদ আরোপ হবে। যারা এর আগে ব্লক সুবিধা গ্রহণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ঋণগ্রহীতার চাহিদা এবং ব্যাংকার-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নতুন ঋণপ্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কাঁচাপাট রফতানি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাদের ঋণ অনিয়মিত ও শ্রেণী বিন্যাসিত হয়েছে তাদেরকেও এ সুবিধার আওতায় আনার ক্ষেত্রে কেসের গুণাগুণ অনুযায়ী কেস টু কেস ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক বিবেচনা করা যেতে পারে। ঋণ হিসাবগুলো ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়ে গেলে বিচারাধীন চলমান মামলাগুলো সোলেনামার মাধ্যমে উভয়পক্ষ কর্তৃক নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫২ শতাংশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৫০ দশমিক ১৭ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার ব্রিফিংয়ে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ তথ্য প্রকাশ করেন। মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ৪ কোটি টাকা, গত অর্থবছরে একই সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এ সময়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের এডিপি বাস্তবায়নের হার অনেক ভাল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এডিপি বাস্তবায়নের হার শতভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে। টাকার অঙ্কে কম দেখালেও এডিপির বাস্তব অগ্রগতি অনেক ভাল। কারণ অনেক ঠিকাদার কাজ শেষ করেছেন অথচ এখন বিলের অর্থ পাননি। অর্থবছরের শেষ তিন মাসে সাধারণত কাজের বিল পরিশোধ করা হয়। ফলে এডিপি বাস্তবায়ন বাড়বে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
×