নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ২ মে ॥ এক কলেজছাত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই কলেজছাত্রীকে (১৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। খুলনার রূপসা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং কালিকাবাড়ি গ্রামের ওই তরুণীকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় আটক কথিত প্রেমিক অসীম ঘোষকে (২৮) গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলহাজতে প্রেরণ করেছে মংলা পুলিশ । সে একই উপজেলার দক্ষিণ কাইনমারী গ্রামের মন্টু ঘোষের ছেলে।
পরিবারের বরাত দিয়ে মংলা থানার এসআই মঞ্জুর এলাহি বলেন, আট বছর আগে কলেজছাত্রী ওই তরুণীর বাবার জমি লিজ নিয়ে পাশের দক্ষিণ কাইনমারী গ্রামের অসীম ঘোষ সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। এর সূত্র ধরে অসীম ঘোষের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বসতি রক্ষার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপের বসতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দ্বীপবাসী। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষা ও উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে আহ্বায়ক শিবলুল আজম কোরাইশী, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, ফিরোজ আহমদ, এমএ রহিম জিহাদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে এক র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেখানে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে পর্যটন ব্যবসা ধ্বংসসহ সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার অধিবাসীর মানবিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেন দ্বীপবাসী। এদিকে সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১০৪টি আবাসিক হোটেল ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। আগামী ১০ মের মধ্যে হোটেল মালিক পক্ষকে নিজ দায়িত্বে হোটেল ভেঙ্গে তা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারা জানান, এগুলো আবাসিক হোটেল নয়, এগুলো তাদের বসবাসের নিজস্ব ঘর। পর্যটকরা বেড়াতে এলে তাদের থাকার সুযোগ করে দেয়া হয়। আর এতে লাভবান হয় সবাই। এখন আমাদের বসবাসের ঘর ভেঙ্গে ফেলতে বলা হয়েছে।
তাহলে এখন দ্বীপবাসী যাবে কোথায়। এমন হলে দ্বীপবাসী তাদের বাসস্থান হারানোসহ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: