ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মিহির কুমার রায়

প্রাক-বাজেট ভাবনায় সমাজ চিন্তা

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৩ মে ২০১৭

প্রাক-বাজেট ভাবনায় সমাজ চিন্তা

আগামী আর্থিক বছর শুরু হতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের স্ব-স্ব চাহিদা বরাদ্দের খতিয়ান নিয়েছে, যা বাজেট প্রস্তুতের প্রক্রিয়ায় চিরাচরিত নিয়ম। এই প্রক্রিয়ায় সার্বিক খতিয়ান পর্যবেক্ষণ করে রাজস্ব বাজেটের রূপরেখা দেয়ার কাজ চলছে। আবার এর সঙ্গে যোগ হবে উন্নয়ন বাজেট, যা তৈরি করে থাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পরিকল্পনা কমিশন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে কি কি প্রকল্প স্থান পাবে তার একটি খসড়া এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মসূচী বিভাগ থেকে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে বরাদ্দের কম-বেশি কিংবা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের দরকষাকষি। আবার প্রকল্পের মধ্যে কিছু আছে চলমান, আবার কিছু নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি ও কিছু আছে বরাদ্দবিহীন প্রকল্প। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে আগামী বছরের বাজেট জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে, যা হবে বৃহদাকার অর্থাৎ ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। বিশেষত বরাদ্দ ও প্রকল্পের সংখ্যাধিক্যে, বাজেট ঘাটতি দেখানো হতে পারে মোট বাজেটের ৫.৪ শতাংশ এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতে পারে ৭.৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন, বিদ্যুত-জ্বালানি, অবকাঠামো ও সাইবার নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে এবং কৃষি খাত ব্যতীত অন্য সব খাত থেকে ভর্তুকি তুলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে ভর্তুকিতে বরাদ্দ কমছে শতকরা ৩৫ শতাংশ, যদিও সময়ের প্রয়োজনে চাহিদা বেড়েছে কিছু কিছু খাতে, যেমনÑ বিদ্যুত খাত। এই সূত্রটি জানায়, আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেটে ভর্তুকিতে মোট ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা জিডিপির ১.২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে নিট খরচ হতে পারে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।’ বর্তমানে ৭টি খাতে ভর্তুকি দেয়া হয়, যার মধ্যে বিদ্যুত, কৃষি, রফতানি, খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য। এর বাইরেও কিছু খাতে ভর্তুকি দেয়া হয়, যেখানে বরাদ্দ খুব কম থাকে। কৃষিতে মূলত সার আমদানিতে ভর্তুকি দেয়া হয়, যা আগামী বাজেটে এ খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে আগামী বাজেটে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে, যা চলতি বাজেটে একই পরিমাণ ছিল। আগামী বাজেটেও খোলা বাজারে ওএমএসের আওতায় চাল-আটাতে ভর্তুকি প্রস্তাব করা হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা, রফতানিতে প্রস্তাব করা হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা, পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আগের মতো ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে দেড় হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে টার্গেট গ্রুপ ঠিক করে ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে, যার জন্য কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম কৃষককে নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে একটি অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায় যে, বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা ও স্বচ্ছতার ঘাটতিজনিত কারণে উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ সময় মতো ব্যয় হয় না অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) প্রাক্কলন করে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কাটছাঁট করতে হয় উভয় ক্ষেত্রে। বর্তমান অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ১,২৩,৩৪৬ কোটি টাকা। পরবর্তীতে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়ায় ১,১৯,২৯৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে কেবল ৪৬ শতাংশ অথচ এ হারটি ছিল গত বছরে ৪৪ শতাংশ। অথচ এসডিজি ছাড়িয়ে দেশ যখন টেকসই উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে তখন এ ধরনের তথ্য নজিরবিহীন বলে মনে হয়। এখন বাকি তিন মাসে কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে যায়। এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো সমধর্মী, বিশেষত সমীক্ষা না করে প্রকল্প গ্র্রহণ, ভূমি জটিলতা, প্রকল্পের গুরুত্বের সঙ্গে বরাদ্দের অসামঞ্জ্যতা, প্রকল্প পরিচালকের বদলি, নিয়মিত তদারকি না থাকা, প্রতিবছর অডিটের নিষ্পত্তি না হওয়া। উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা না গেলে অথবা মাঝ পথে প্রকল্পের কাজ পরিত্যক্ত হলে কিংবা প্রকল্প চলার কালে প্রকল্প পরিচালকের বদলি ঘটানো হলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিপর্যয় ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। আবার সে সকল প্রকল্পের অর্থ যদি বৈদেশিক অনুদান বা সাহায্য থেকে আসে তাহলে অর্থের অপব্যবহার বা অর্থ ফেরত যাওয়ার ব্যাপারটি দেশের জন্য সুখকর নয়। তাই এই ধরনের সীমাবদ্ধতাগুলোর প্রতি উচ্চতর মনোযোগ ও সাবধানতা অবলম্বনকল্পে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সম্প্রতি বেশকিছু নির্দেশনা এসেছে। সেগুলো হলো : প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতা, পরিবীক্ষণ ও তদারকি বাড়ানো, প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্প গ্রহণে দ্বৈততা পরিহারকরণ, প্রত্যেক প্রকল্পে আলাদাভাবে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ ও প্রকল্প এলাকায় তার বসবাস, দেশের সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, পরনির্ভরশীলতা থেকে আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা, সরকারী ক্রয়ের দরপত্র ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে করা ইত্যাদি। বিশিষ্টজনরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, যা দুর্নীতি কমাবে, প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়মতো হবে এবং সরকারের অর্থ ব্যয়ের উদ্দেশ্য অনেকাংশে পূরণ সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্নরূপে আমাদের কাছে আবির্ভূত হয়। আমরা যদি ২০১৬-২০১৭ অর্থাৎ চলতি বছরের বাজেট বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যায় যে, মোট বাজেট হলো ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭.৩৭ শতাংশ। আবার এর মধ্যে অনুন্নয়ন বাজেট ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১১ শতাংশ এবং উন্নয়ন বাজেট ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপির ৫.৭৩ শতাংশ। এই বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪.৯৬ শতাংশ। উক্ত বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৯.৭ শতাংশ, এনবিআর বহির্ভূত কর ২.১ শতাংশ, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৯.৫ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন থেকে প্রাপ্ত ১৮.১ শতাংশ, বৈদেশিক ঋণ ৯ শতাংশ ও অনুদান ১.৬ শতাংশ। অনুন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দকৃত খাত হলো শিক্ষা ও প্রযুক্তি (১৪.০৪%) এবং উন্নয়ন বাজেটে সর্বাধিক বরাদ্দের খাত হলো পরিবহন/যোগাযোগ (২৬.৭%)। এখানে উল্লেখ্য যে, রাজস্ব আয়ের ৩৫.৮ শতাংশ আসবে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে, যা সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে এবং নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে তা বলা যাচ্ছে না ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়বে রফতানি খাত। এই বাজেটের একটা বড় দিক ছিল কর বাড়িয়ে সমৃদ্ধির জন্ম দেয়া, যা কতটুকু অগ্রসর হয়েছে তা দেখার বিষয়। একটি বিষয় প্রায়শই আলোচনায় আসে যে, সক্ষমতার অভাবে বাজেটের ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য সরকারকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ধার করে সরকারী খরচ মেটাতে হয়, যার জন্য সরকারকে মোটা অঙ্কের সুদ গুনতে হয়, যা চলতি বছরে ধরা আছে বাজেটের মোট ১৭.৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে সুশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতা ইত্যাদি একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ষোলো কোটি মানুষের দেশে অর্থমন্ত্রীর ভাষ্যমতে টিনধারী লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১২ লাখ, যা বর্তমানে বেড়ে প্রায় ২৯ লাখের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে কেবল দেশের বিভিন্ন বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা শহরে কর মেলার মাধ্যমে করদানের যোগ্যতা অর্জনকারী লোকদের উদ্বুদ্ধকরণে। কিন্তু বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির তথ্য মতে এই টিনধারী লোকের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি হওয়ার কথা। আবার যাদের টিন রয়েছে তাদের অনেকেই ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয় না, যা একটি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। কিন্তু কেবল রাজনৈতিক কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণে কেউ হয়রানি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আবার কর আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের স্বল্পতা ও স্বচ্ছতা একটি পেরেনিয়েল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই কাজটি রাজস্ব বৃদ্ধির একটি বড় হাতিয়ার, যা সরকারের আর্থিক স্মৃতিশীলতাকে সমৃদ্ধ করবে। এখানে উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে আয়কর বিভাগের ৩৭ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে রাজস্ব আহরিত হয়েছে ৩২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ৪ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা, যা বাকি চার মাসে এনবিআরকে আদায় করতে হবে। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বড় কর অঞ্চলগুলো। মূলত ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আহরণ না হওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা বেশি হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করা হয়। রাজস্ব আহরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেও ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। সামষ্টিক অর্থনীতির মানদ-ে বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত শতকরা ১০.৯০ ভাগের কাছাকাছি, যা তুলনামূলক বিচারে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে অনেক নিচে রয়েছে। তার একটি বড় কারণ ট্যাক্স প্রদানে অনীহা ও আইনের দুর্বলতা। এক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ও অবকাঠামো গত সব বাধা দূর করে সঠিক করদাতাদের কাছ থেকে যত বেশি কর আদায় করা যায় সে চেষ্টা চলেছে; কিন্তু এনবিআরের কর্মক্ষমতা ও কর্মদক্ষতার স্বল্পতা থাকায় সে প্রয়াসে তেমন ফল আসেনি। গ্রাম ও শহরে কর অদায়ের আওতা বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কালো টাকার উৎস বন্ধ, দ্বৈত করের হার পরিহার, বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট হার যৌক্তিকীকরণ ও টিনধারী কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে বেগবান করার লক্ষ্যে এনবিআরকে অটোমেশন প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আশার পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাজস্ব আহরণের কার্যক্রমে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। কেবল কর মেলা করে নয়, কর আহরণের বিষয়টির ব্যাপারে কার্যক্রম একটি রুটিনমাফিক সারা বছর ধরেই হওয়া উচিত। তবে এর জন্য যে দক্ষ জনবল দরকার তা তৈরি করতে এনবিআরের বাধা কোথায়? কেবল প্রশিক্ষিত ও নৈতিকতার মানদ-ে তৈরি জনবলই পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের টার্গেট নির্ধারণ, ব্যয়ে সতর্কতা অবলম্বন, কর ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবীক্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর অবকাশ থেকেই যাবে। কারণ, বাজেটের মুখ্য বিষয় আয়-ব্যয় নির্ধারণ, ঘাটতি বাজেট ও এ ঘাটতি বাজেট পূরণের উৎস। যদি কর বাড়ে তবে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং এর জন্য বাড়তি বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, যার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পরিকল্পনা কমিশন, আইইআরের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও উদ্যোগী মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করবে। বর্তমান বছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য বাস্তবায়ন না হলে আগামী বাজেটে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে বাধ্য। লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি ও সহসভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি, ঢাকা
×