ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাসেক্সে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১ মে ২০১৭

সাসেক্সে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাসেক্সে গিয়ে প্রস্তুতি ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেই প্রস্তুতি ক্যাম্পের অংশ হিসেবে আজ প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। মাশরাফিবাহিনী আজ সাসেক্সে ডিউক অব নোরফকের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সফরের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে। ম্যাচটি ৫০ ওভারের হবে। আরুনডেলে সকাল ১১টায় ম্যাচটি শুরু হবে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১ জুন শুরু হবে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বহু আগেই ইংল্যান্ডে চলে গেছে বাংলাদেশ দল। যেন কন্ডিশনের সঙ্গে ভালভাবে মানিয়ে নেয়া যায়। সাসেক্সে গিয়ে তিনদিন অনুশীলনও করে ফেলেছে। আজ থেকে প্রস্তুতি ম্যাচে নামার পালা। সাসেক্সে প্রস্তুতি ক্যাম্পে আরও একটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ৫ মে সাসেক্সের বিপক্ষেই প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে। এরপর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড যাবে। আয়ারল্যান্ডে ৭ মে যাবে দল। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড খেলবে। ১২ ও ১৯ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ১৭ ও ২৪ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে মাশরাফিবাহিনী। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ২৫ মে ইংল্যান্ডে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে প্রথমে ২৭ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ৩০ মে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ দল। ৫ জুন অস্ট্রেলিয়া এবং ৯ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এ প্রস্তুতি ক্যাম্পটির উদ্দেশ্যই হচ্ছে যেন কন্ডিশনের সঙ্গে ভালভাবে মানিয়ে নেয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে যেন বাংলাদেশ দল ভাল করতে পারে তাই এ ক্যাম্প। এ ক্যাম্পটি যে উপকারে আসতে পারে তা সবারই ধারণা আছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা যেমন বলেছেন, ‘অনেকদিন পর ওই ধরনের কন্ডিশনে খেলব। আমার মনে হয় প্রস্তুতিতে সাসেক্সের ক্যাম্প এবং আয়ারল্যান্ড সফর কাজে লাগবে। ওই কন্ডিশনে আমরা কতটা কেমন খেলতে পারি সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’ তবে কঠিন সফরও যে হতে যাচ্ছে তাও বুঝতে পারছেন মাশরাফি। তাইতো বলেছেন, ‘খুব কঠিন সফর হতে যাচ্ছে। বাস্তবতার দৃষ্টিতে বললে এটা খুব কঠিন সফর হতে যাচ্ছে। প্রতিপক্ষ যারা আছে তাদের দিকে তাকালে মনে হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এতো সহজ হবে না। কিন্তু বলাও যায় না; আমরা ওই কন্ডিশনে ইংল্যান্ডকে দুইবার (২০১০ ও ২০১৫ সালে) হারিয়েছি। কার্ডিফে (২০০৫ সালে) একবার অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছি। যদিও এগুলো ইতিহাস, তবে আমার কাছে এখনও মনে হয় এটা সম্ভব। আমরা কিভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিব সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা যদি মানসিকভাবে প্রস্তুত না হতে পারি, তাহলে ২০-২৫ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পও তেমন একটা কাজে দিবে না।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন ‘ক্যাম্পটা তো প্রস্তুতি। আয়ারল্যান্ডে তো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ, টুর্নামেন্ট বলতে পারেন। সেখান থেকে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির) উইকেট কতটা আলাদা সেটা বলা যাচ্ছে না। শুনেছি আয়ারল্যান্ডে এখনও শীত। আর ইংল্যান্ডে মাত্র গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয় যে, দুই রকম আবহাওয়ায় উইকেটের আচরণও দুই রকম হতে পারে। এর আগে ১০-১২ দিনের ক্যাম্পটা আমাদের খুব কাজে লাগবে। কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ; প্রস্তুতির দিক থেকে বলব যে, আমরা যদি খুব ভালভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসটা ঠিকঠাক রাখতে পারি, তাহলে আশাকরি ভালই হবে। ক্যাম্প সবসময় সাহায্য করে। উইকেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কন্ডিশনটা বলা যায়।’ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে তো বড় অর্জনেই দৃষ্টি রেখেছেন। বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলে আমরা অভ্যস্ত নই। অবশ্যই চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে আমাদের। তার ওপর আমরা বিশ্বের তিন সেরা দলের মুখোমুখি হচ্ছি। তাদের বিপক্ষে খেলার আগে আমি কোন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যে কোন অর্জনই হবে বড় প্রাপ্তি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘সাসেক্স ক্যাম্পের পুরোটা জুড়ে শুধু কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটাই প্রাধান্য থাকবে। সামর্থ্য ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের সেরা পরিকল্পনা করব।’ সেই পরিকল্পনায় প্রস্তুতি ম্যাচগুলোও বিশেষ কাজে দেবে। সেই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটি আজ অনুষ্ঠিত হবে।
×