ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১ মে ২০১৭

বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আমদানি সত্ত্বেও শুধু ডলারের দাম বেড়ের যাওয়ার অজুহাতে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার। ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে রোজার আগে আর পণ্যের দাম বাড়াতে না হয়। গত বেশ কয়েক বছর যাবত ব্যবসায়ীরা রোজার এক থেকে দেড় মাস আগেই পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়ে বসে থাকে। ফলে ঠিক রোজার আগে বা রমজানের সময় আর দাম বাড়াতে হয়না। ব্যবসায়ীদের এই কৌশলের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরাস্ত হলেও রোজার সময় পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখার সাফল্য দাবি করে আসছে। অথচ এই দুই পক্ষ্যের মধ্যে পড়ে ক্রেতাদের বাড়তি দামেই পণ্য কিনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, চিনি এবং ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে এক থেকে দু’টাকা। অথচ রমজানকে সামনে রেখে এসব পণ্যের এলসি খোলা হয়েছিল কয়েক মাস আগে। এমনকি বন্দর থেকে খালাস হয়ে অধিকাংশ পণ্য ব্যবসায়ীদের গুদামে পর্যন্ত চলে গেছে। দেশের সবচে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত সপ্তাহে ছোলা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৭৪ টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে দু’টাকা করে। এপ্রিল মাসের শুরুতে ছোলার দাম ছিলো ৭০ টাকারও কম। শুধু ছোলা নয়, দাম বেড়েছে রমজানের আরেকটি নিত্য প্রয়োজনীয় চিনিরও। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনি ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে চিনির দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম না বাড়লেও ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি সয়াবিনের দাম দেড় টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে কয়েকদিনের ব্যবধানে ডলার প্রতি দাম বেড়ে যায় ৩ থেকে ৪ টাকা। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব পড়ে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। অথচ গত মার্চ মাস থেকেই দেশে আসতে শুরু করে রমজানকে সামনে রেখে খোলা এলসির আমদানি পণ্য। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা রোধে দ্রুত বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব। রমজানে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ৬ থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্য তেল এবং পুরো মাসে দেড় লাখ মেট্রিকটন ছোলার চাহিদা রয়েছে।
×