লক্ষ্মীপুরে নারীরা মজুরি বৈষম্যের শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ৩০ এপ্রিল ॥ সোলেমা, আয়শা, জোসনা, রতœা, রেহানা, পারভীন ও সালমা ওরা ৭ জন। এরা পেয়েছে জীবনের সন্ধান। এদের মধ্যে কেউ বিধবা, কেউ বা স্বামী পরিত্যক্ত। কারও একাধিকবার বিয়ে হলেও স্বামী স্ত্রী সন্তান ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। লোক লজ্জায় কথা বলতেও সাহস পাচ্ছে না তারা। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর কোটায়। তবে তাদের বাস উপকূলীয় এলাকার মেঘনার বিভিন্ন বেড়িবাঁধের পার্শে¦, অস্থায়ী ঢেরায়। তারা কাজ করছে জেলার রামগতির উপজেলার একটি বিদেশী সংস্থা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে। একজন ঠিকাদারের অধীনে। সারাদিন ৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে পুরুষরা যেখানে পায় পাঁচ শ’ টাকা। অথচ একই সমান ৮ ঘণ্টা কাজ করে এ সব নারীরা পাচ্ছে, আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ টাকা হিসাবে। জোরালো প্রতিবাদ নেই তাদের কাছ থেকে। অভাবী সংসার। তাই প্রতিবাদ করছে না কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায়। তারপরও তারা খুশি। দু’বেলা ভাতের যোগানসহ সংসারের আয়ের পথ সুগম হয়েছে তাদের। শুধু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নয়। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনসহ সর্ব ক্ষেত্রে নারীরা তাদের শ্রম বিনিয়োগ করেছে। সোমবার পহেলা মে। মহান মে দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি সারা বিশে^ পালিত হচ্ছে, মজুরি বৈষম্য এবং ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে। সরকারীভাবে শ্রম ঘণ্টা নির্ধারিত থাকলেও বেসরকারীভাবে সেটি গণ্য করা হচ্ছ না অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে অতিরিক্ত শ্রমের মর্যাদাও মূল্যায়ন হচ্ছে না নারীদের ক্ষেত্রে। জানালেন ওই নারীরা। মুখ খুলতেও ভয়। আবার কাজে যদি না নেয়া হয়। সোমবার মে দিবস উপলক্ষে নারীদের ক্ষেত্রে সে বৈষম্যের নিরসন হবে। নারীরা পাবে তাদের ন্যায্য মজুরি, শ্রমের মর্যাদা এবং প্রাপ্য অধিকার, এ প্রত্যাশা অবহেলিত নারী সমাজের।