ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এক শ’ দিনে অচেনা ট্রাম্প ॥ সুখবর নেই হিলারির

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ১ মে ২০১৭

এক শ’ দিনে অচেনা ট্রাম্প ॥ সুখবর নেই হিলারির

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অফিসিয়াল মাইলস্টোন এবং আন অফিসিয়াল হানিমুনের শতদিন পূর্ণ হলো গত শনিবার ২৯ এপ্রিল। এই দিন পেনসিলভানিয়ায় হ্যারিসবুর্গে বিশাল রেলির মাধ্যমে উদযাপন করা হলো এই দিনটি। ক্ষমতা গ্রহণের শততম দিন সর্বপ্রথম উদযাপন করেছিলেন ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডি রুজভেল্ট। এই উপলক্ষে তিনি তার শাসনকালের এক শ’ দিনের কর্মকা-ের সাফল্য ও ব্যর্থতার একটি খতিয়ান তৈরি করেছিলেন। ফ্র্যাংকলিন ডি রুজভেল্ট সংক্ষেপে পরিচিত ছিলেন এফডিআর নামে এবং আমেরিকার ইতিহাসে তিনিই একমাত্র পলিটিশিয়ান ও স্টেটসম্যান যিনি পরপর চার টার্মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমেরিকার গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্কট মোকাবেলা করে অর্জন করেছিলেন অপরিমেয় খ্যাতি। সেই থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্সির এক শ’ দিনের এক আমলনামা তৈরি হবার রীতি প্রবর্তিত হয় নবাগত প্রেসিডেন্টের জন্য। শত দিনের এই সময়টিকে বরাবর নবাগত প্রেসিডেন্টের জন্য হানিমুন পিরিয়ড বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্য এই মধুচন্দ্রিমা মধুময় হলেও বর্তমান প্রেসিডেন্টের জন্য কোন মধু ভরা দিন হিসেবে আসেনি। বরং কখনও কখনও বিষময় হয়েছে হানিমুন দিনগুলো। শুরু থেকেই কোর্টের গেরো, কংগ্রেসের বাধা, প্রেস এবং প্রোটেস্ট চলার পথে কাঁটা হয়ে থেকেছে তার। প্রভাত যদি দিনের সূচনা হয়Ñ দিনের শুরুটি থেকেই তার শাসনকালের দিবসগুলো ছিল বড়ই ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। শুরু থেকেই এক শ’ দিনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সফল অথবা বিফল হবেন এই পর্যালোচনার আগে একটা প্রশ্ন অনেকেই তুলেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কতদিন? শুরু থেকেই রেডিও, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ট্রাম্প ও তার পরিবার নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ ও কদর্য সমালোচনায় মুখর থেকেছে। এমনকি এ বছরের অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠানটি নবীন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আদ্যোপান্ত ভরপুর থেকেছে রসিকতায়। সিএনএন প্রকাশিত জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলনামায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শতকরা ৪৫ ভাগ আমেরিকান। যেখানে পূর্ববর্তী ওবামা এ সময়টিতে পেয়েছিলেন ৬৫% সমর্থন। মিডিয়া বলছে গত কয়েক দশকের মধ্যে কোন প্রেসিডেন্টের এক শ’ দিনে এত কম সমর্থন দেখা যায়নি। তাই তারা এটাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সে কথা মানতে নারাজ। তার মতে এই সময়ের মধ্যে তিনি যে কাজ করেছেন সেগুলো পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের তুলনায় অনেক বেশি সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রাম্প ক্যাম্পেন অভিযোগ করে বলেছে অসৎ মিডিয়া প্রেসিডেন্টের সাফল্যগুলো চেপে রেখে প্রকাশ করছে শুধু ব্যর্থতার কথা। ট্রাম্প নিজে মিডিয়ার নিউজকে ফেক হিসেবে আখ্যায়িত করলেও তার মোকাবেলায় মুখোমুখি হতে আর ইচ্ছুক নন। তিনি তার বদলে তার তিত অস্ত্র আজ প্রয়োগ করে চলেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের এক শ’ দিনে তিনি টুইট করেছেন ৪৭০টি। শত দিনের ট্রাম্প এজেন্ডা বাস্তবায়নে ক্যাপিটল হিলে প্রবল বিরোধিতাকারী ডেমোক্র্যাট দল তো আছেই, তদুপরি বিরোধিতার কোরাসে শামিল হয়েছে নিজ দল রিপাবলিকান পার্টিও। নবীন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন অথবা ইম্পিচড হচ্ছেন এমন খবর বাংলাদেশের পত্রিকায় পর্যন্ত মুদ্রিত হতে দেখা গেল। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এক শ’ দিনের লম্বা একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর সে সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ করতে পারেননি বর্তমান সময় অবধি। এর কারণ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর থেকেই তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যেসব পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন সেগুলো বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে কংগ্রেস ও বিচার বিভাগের দ্বারা। যদিও অদ্যাবধি তিনি বড়সড় কোন নতুন আইন পাস করতে পারেননি, তবে মার্কিন চাকরি বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা ও স্বদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ নানা বিষয় ৩০টি এক্সিকিউটিভ অর্ডার জারি করেছেন। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল সন্ত্রাস রোধে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কতিপয় নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তা ধর্ম সংশ্লিষ্ট উল্লেখ করে সেটি বন্ধের নির্দেশ দেন ওয়াশিংটন আদালতের একজন বিচারক। এরপর সেই আদেশ সংশোধন করে পুনরায় ট্রাম্প নয়া আদেশ জারি করলে হনলুলুর অপর একজন বিচারক তাও আটকে দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া ছাড়া এটা বাস্তবায়নের জন্য আর কোন পথ খোলা নেই। খুনী-দাগি কিংবা আইন ভঙ্গকারী অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের বহিষ্কারের জন্য ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাতেও বাধা আসছে। সমালোচকরা বলছেন আমেরিকা থেকে এদের বিতাড়ন অমানবিক এবং ইমিগ্র্যান্টদের দেশ হিসেবে আমেরিকান সনাতন নীতির পরিপন্থী। অথচ এদেশ থেকে অবৈধ অপরাধী ইমিগ্র্যান্ট বহিষ্কার নতুন কিছু নয়, দেশের বিদ্যমান আইনেই সব আমলে এটা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ছিলেন ইমিগ্র্যান্ট বহিষ্কারের একজন চ্যাম্পিয়ন। কারণ, তার আমলে ২৫ লাখের অধিক অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বিতাড়িত হয়েছিল এই দেশ থেকে। সে সময় অবশ্য তাদের পক্ষে এখনকার মতো জনতাকে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। অথচ যত গোল বেধেছে যত দোষ নন্দ ঘোষ ট্রাম্পের বেলায়। সাদা চোখে দেখলে দেখা যায় এত সব বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও সত্তর বছর বয়সী যুবক প্রেসিডেন্ট হার না মানা হার গলায় পরে এগিয়ে চলছেন তার নিজ অভীষ্ট লক্ষ্যে। এক শ’ দিনের মধ্যে প্রধান বিচারপতি নীল গরসেজকে নিয়োগ দিতে পারা তার একটি বিশাল কৃতিত্ব, যে কাজে নাকি ইতিপূর্বে কোন প্রেসিডেন্ট সফল হননি। এই আমলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে শেয়ারবাজারের উর্ধমুখী গতি। প্রকৃতপক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি, পরবর্তীতে রাজনীতিতে পা রাখেন শখের বশে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হবেন সে কথা কি কোনদিন তার নিজের স্বপ্নের ঘোরেও বিচরণ করেছিল! তারপরও প্রেসিডেন্ট হতে পারলে ভেঙ্গে দেবেন ওয়াশিংটনের কোটারি স্বার্থ এই কথাটি রিয়ালিটি টিভি স্টার জনগণকে শুনিয়েছিলেন রাজনীতিতে পা রেখেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিকারভাবেই ভাঙতে চেয়েছিলেন ওয়াশিংটনের চিরাচরিত কোটারি স্বার্থের রাজনীতি; কিন্তু সেটা যে বড় সহজ ব্যাপার নয় বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তার এক শ’ দিনের জমানায়। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি দুনিয়ার প্রেসিডেন্ট নন, হতে চান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তার সেøাগান ছিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ আমি আবার এদেশকে ফিরিয়ে আনব গ্রেট হিসেবে। বর্তমান সময়টিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপলব্ধি হচ্ছে তিনি প্রেসিডেন্টের কাজকে যত সহজ ভেবেছিলেন সেটি তার চাইতে অনেক সুকঠিন। ক্যাপিটাল হিলের কংগ্রেস হলো রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট ঝানু ঝানু রাজনৈতিকদের পীঠস্থান। এসব আইন প্রণয়নকারীগণ দলমত নির্বিশেষে নিজেদের মধ্যে কতটা ঐক্যবদ্ধ তা ওবামা কেয়ারের স্থলে নয়া স্বাস্থ্য বিল প্রণয়নে উভয় শিবির থেকে যেরকম বিরোধিতা এলো তাতে বিল উত্থাপনের আগেই সরে আসতে হয়েছে ট্রাম্পকে। মজার কথা রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্যরাই এই বিরোধিতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করলেন। তাদের কর্মতৎপরতায় মনে হওয়া বিচিত্র নয় বর্তমান আমলে সরকারী দলই বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে। প্রেসিডেন্টের এক শ’ দিনের প্রতিশ্রুতিতে ছিল মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ এবং এর ব্যয়ভার বহন করবে সেই দেশ। কিন্তু মেক্সিকো সরকার সেটি অস্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ করুক, যাকে তিনি ডাউন পেমেন্ট হিসেবে বললেন। দেয়াল নির্মাণ শেষ হলে বাণিজ্য শুল্ক বাড়িয়ে অথবা অপর কোন পন্থায় তিনি সেই অর্থ মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায় করবেন। কংগ্রেসের বাধায় সেটিও উত্থাপন করা সম্ভব হলো না। এমনকি ২৮ এপ্রিল ফেডারেল সরকারের বাজেট শেষ হবার পর সমঝোতা না হওয়ায় সম্ভব হলো না সেটিও। চলতি সপ্তাহে কংগ্রেস সরকারী কাজকর্ম পরিচালনার জন্য মাত্র এক সপ্তাহের বাজেট বরাদ্দ করেছে। ট্রাম্প যে যুগান্তকারী নয়া ট্যাক্স ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছেন সেটি কংগ্রেস কর্তৃক আগামীতে পাস হবে কিনা তাতেও রয়েছে সংশয়। গত ১৩ সালে সিরিয়ায় কেমিক্যাল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ওবামা আসাদকে উৎখাতের জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিতে চাইলে ট্রাম্প তাতে সমর্থন জানাননি। পূর্ববর্তী সময়ে ইরাক ও লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষপেরও বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু অতঃপর? ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক শ’ দিনের ঘটনাবহুল জমানায় কেমিক্যাল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগে আসাদের সিরিয়ায় আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আফগানিস্তানে মাদার অব অল বোম্ব নিক্ষেপ, উত্তর কোরিয়া অভিমুখে যুদ্ধজাহাজ প্রেরণের ঘোষণায় দেখা গেল তিনি নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসা অচেনা ট্রাম্প। এ সম্পর্কে সিএনএনের উদারপন্থী বৈদেশিক ভাষ্যকার ফরিদ জাকারিয়া বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন মনিকা লিউনিস্কির সঙ্গে স্ক্যান্ডাল স্বীকারের তিনদিনের মধ্যে সুদানের সন্দেহজনক রাসায়নিক কারখানা ও আফগানিস্তানের আল কায়দা ক্যাম্পে নিক্ষেপ করেছিলেন ক্ষেপণাস্ত্র। ট্রাম্পের ব্যাপারটি আসলেই একই মুদ্রার ওপিঠ, যেটা বর্তমান প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তাকে উচ্চ করার লক্ষ্যেই করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার আগে তিনি তার প্রতিশ্রুত বিদেশনীতি থেকে ১৮০ ডিগ্রী উল্টো দিকে ঘুরে গেছেন। বলতে দ্বিধা নেই সঙ্গে সঙ্গে যেন ঘুরল ভোটাররাও। জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছে এখন নাকি ভোট হলে হিলারির তুলনায় ট্রাম্পই বেশি পপুলার ভোট পাবেন! ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা নেই বলে তাকে ‘এবসলিউট’ হিসেবে বহুবার আখ্যায়িত করার পর এখন সুর বদলে ন্যাটো কতটা প্রয়োজনীয় সে কথাই জানাচ্ছেন। চীনকে ‘কারেন্সি ম্যানুপুলেটর’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন তারা কৃত্রিম উপায়ে ডলারের দাম বেঁধে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় এসে আবার একদিকে চীন প্রেসিডেন্টের মারালোগোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকের পর সে সুরেরও বদল ঘটল। ট্রাম্প এখন বলছেন চীন কারেন্সি ম্যানুপুলেটর নয়। রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা বহুবার তিনি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সিরিয়া প্রশ্নে এখন বলছেন বর্তমানে সে দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। অবশ্য ট্রাম্প মনে করেন তিনি তার পূর্বঘোষিত নীতি থেকে সরে আসেননি, তিনি একজন ফ্লেক্সিবল মানুষ। তাই আগে যা বলেছেন সেটাই অনড়ভাবে ধরে রাখতে হবে তা অর্থহীন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সফল অথবা বিফল এই প্রশ্নটি আপাত তুলে রেখে কেউ যদি প্রশ্ন করেন তবে কি তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিন্টনের অবস্থান ভাল? টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের জনমত সমীক্ষায় যেটা উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে নির্বাচন হলে হিলারি পপুলার ভোটে পরাজিত হবেন এবং ট্রাম্প হিলারির তুলনায় নির্বাচনকালের চাইতে অনেক বেশি পপুলার ভোট পাবেন। বিপরীত দিকে জনমত জরিপে শতকরা ৬৭ ভাগ মার্কিন বলেছে ডেমোক্র্যাট দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ টড বলেছেন, মাঝে-মধ্যে হঠাৎ সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তৃতা করে হিলারি দলকে এগিয়ে নিতে হবে পারবেন না। তাই দলকে চাঙ্গা করে জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ডেমোক্র্যাটদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে কে হবে তাদের পরবর্তী নেতা। ট্রাম্পের জন্য যা স্বস্তিকর তাহলো নির্বাচনে যারা তাকে ভোট দিয়েছিল তাদের মধ্যে শতকরা ছিয়ানব্বইজন আবার তাকে ভোট দেবেন বলেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বড় সমালোচকরাও স্বীকার করেছেন অরাজনৈতিক ট্রাম্প ওয়াশিংটনের গতানুগতিক রাজনীতিকে দিয়েছেন প্রবল ঝাঁকুনি। তারা আরও বলছেন, ১০০ দিনে ট্রাম্প যেন সহসা বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন ওয়াশিংটনের ‘রাজনৈতিক টোন’! লেখক : প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
×