ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফসিল পানি দূষণে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ১ মে ২০১৭

ফসিল পানি দূষণে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ

ভূপৃষ্ঠের নিচে গভীরতম স্তরে হাজার হাজার বছর ধরে সঞ্চিত পানি যা গবেষকরা ‘জীবাশ্ম পানি’ নামে অভিহিত করেছেন, তার বিশুদ্ধতা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। জীবাশ্ম বা ফসিল পানি নামকরণের আরেকটি যুক্তি হচ্ছে যে, প্রাগৈতিহাসিক কাল- তা হতে পারে মানবসভ্যতারও বহু আগে এমনকি তা বরফ যুগ বা ম্যামথ যুগ থেকেও এই পানির স্তর জমে থাকতে পারে। মানুষের কর্মকা-ে ভূগর্ভস্থ এই আদি পানির সঞ্চিত ভা-ার দূষণের সম্মুখীন হয়েছে। এতদিন ধরে ধারণা করা হয়েছিল যে, হাজার হাজার বছরের এই পানি মাটির অতি গভীর স্তরে রক্ষিত বিধায় এটি নিরাপদ থাকবে এবং এতে দূষণের কোন ছোঁয়া লাগবে না। কিন্তু ভিয়েনায় মঙ্গলবারে এ সংক্রান্ত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উপস্থাপিত হয়েছে যে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮২০ ফুটেরও বেশি গভীরতায় ভূগর্ভস্থ ‘জীবাশ্ম পানি’, যা ১২ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে সঞ্চিত তা বর্তমানকালের বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে দূষিত হতে চলেছে। এছাড়াও বর্তমানে ভূ-উপরিভাগের পানি সঙ্কট মোকাবেলায় যেভাবে গভীর নলকূপের ব্যবহার হচ্ছে তাও এই আদি পানির উৎসকে দূষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গবেষণাপত্রের লেখকদের একজন ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক স্কট জেসেস্কা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে ভূপৃষ্ঠের অতিশয় গভীরে যে পানির স্তর আছে তা কমপক্ষে ১২ হাজার বছরের বরফ গলা অথবা বৃষ্টির পানির সঞ্চিত আধার। কেননা এটি বছরের পর বছর ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্তর যেমন মাটি, বালি, পাথর ইত্যাদি চুইয়ে অতি গভীরতম তলদেশে আশ্রয় নেয়। তাই যখন মানুষ তার বিভিন্ন প্রয়োজন যেমন নিরাপদ খাবার পানি, সেচ, কলকারখানা ও নির্মাণকাজের জন্য গভীর নলকূপের সাহায্যে এসব পানি টেনে তোলে তখন তার অস্তিত্ব ও বিশুদ্ধতা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। -এএফপি
×