ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের এক শ’ দিন

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ১ মে ২০১৭

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের এক শ’ দিন

হোয়াইট হাউসের প্রথম ১০০ দিনে প্রতিশ্রুতি পূরণে দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই ১০০ দিনের বিচারে ট্রাম্পের রিপোর্ট কার্ডে সাফল্য-ব্যর্থতার খতিয়ান খোঁজার চেষ্টা হয়েছে বিদেশী সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে। স্বাস্থ্যসেবা ॥ বারাক ওবামার হেলথ কেয়ার ব্যবস্থা বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়ন ছিল ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। তা পূরণ করতে গিয়ে প্রথম ১০০ দিনে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। গত মার্চে ট্রাম্পের নতুন আইনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে বিল তোলা হলেও তার নিজের দল রিপাবলিকান পার্টিতে বিরোধিতার মধ্যে ভোটাভুটিতে হারের শঙ্কায় তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সংশোধিত একটি স্বাস্থ্য বিলের প্রস্তাব চলতি সপ্তাহে কট্টর রিপাবলিকানদের সমর্থন পেয়েছে। তবে তা উদার রিপাবলিকানদের অনুমোদন পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিনেটেও এ প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কর সংস্কার ॥ ট্রাম্প বলে আসছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর কাঠামোতে আশির দশকের পর সবচেয়ে বড় সংস্কার আনতে যাচ্ছেন তিনি।গত সপ্তাহে কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে নতুন আইনের প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলেছেন, তার প্রস্তাবে ব্যক্তিগত আয়করের সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ৩৫ শতাংশ। তবে এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প কর কাঠামোর কেমন চেহারা দিতে চাইছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকি জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতারাও বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত শুধু আভাসটাই এসেছে। পররাষ্ট্রনীতি ॥ ট্রাম্পের ১০০ দিনে বড় পরিবর্তন এসেছে তার পররাষ্ট্র নীতিতে। ভোটের প্রচারের সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের আগ্রহের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য আঁতাত এবং হ্যাকিংয়ের অভিযোগ নিয়ে গত মার্চে তদন্ত শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এপ্রিলে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর পুতিনের সমালোচনা করেন। তবে ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অভিলাষ এবং একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। অভিবাসন ও দেয়াল ॥ অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা ছিল ট্রাম্পের আরেক আলোচিত নির্বাচনী অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে মেক্সিকোর টাকায় সীমান্তে দেয়াল তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের এই কঠোর অবস্থানের একটি প্রভাব সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টার হার গত মার্চে ১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার পরিকল্পনা এখনই তিনি বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। -ওয়েবসাইট
×