ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে পুলিশের এসির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

প্রকাশিত: ২২:২৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

রাজশাহীতে পুলিশের এসির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অফিসার্স মেসে মৃত সহকারি কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের লাশের ময়নাতদন্তে হত্যার কোনো আলামত পায়নি চিকিৎসক। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এমন কথা জানানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে এসি সরফ রাজের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর প্রায় ১২টা পর্যন্ত লাশের ময়নাতদন্ত চলে। ময়নাতদন্ত করতে গঠন করা হয় তিন সদস্যর মেডিক্যাল টিম। নগরীর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক মনসুর রহমানকে প্রধান করে এই মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন- রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর এমদাদুর রহমান। ময়নাতদন্ত শেষে টিমের প্রধান মনসুর রহমান বলেন, ‘সন্দেহভাজন সবদিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার জন্য সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। যেমন- পাকস্থলিতে বিষ আছে কী না, কোনো ড্রাগস ছিল কী না- এগুলো জানতে ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। রক্ত নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই সব ফলাফল জানানো হবে।’ হত্যার কোনো আলামত পেয়েছেন কী না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মনসুর রহমান বলেন, তা পাওয়া যায়নি। তাহলে এটা হত্যার দিকে যাবে কী না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কখনোই নয়’। তবে লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কী না, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই সবকিছু স্পষ্ট করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। শনিবার সকালে আরএমপির অফিসার্স মেসের নিচতলার একটি কক্ষে এসি সরফরাজের লাশ দেখতে পান সহকর্মীরা। জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ছিল। বিকেলে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ রামেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। এসি সরফরাজ ৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি আরএমপির রাজপাড়া থানা জোনের এসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবা এম ওবাইদুল্লাহ আরএমপির কমিশনার ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুরে। এসি সরফরাজের চার বছরের একটি মেয়ে আছে। তার স্ত্রী সুলতানা নাসরিন সূচনা একজন চিকিৎসক। আরএমপির সদর দফতর সামনের এলাকায় সূচনার বাবার বাড়ি। তবে নগরীর উপশহরে নিজেদের বাসায় থাকতেন এই দম্পতি। পুলিশ বলছে, এসি সরফরাজ মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে যেতেন ওই অফিসার্স মেসে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় ডিউটি শেষে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন। এদিকে ময়নাতদন্তের পর রবিবার লাশ আবারো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তার লাশ নেওয়া হয় রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইনে। সেখানে প্রথম জানাযা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে নগরীর টিকাপাড়া গোরস্থানে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর রাজপাড়া থানার কর্তব্যরত অফিসার তসলিমা খাতুন জানিয়েছেন, এসি সরফরাজের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের হয়। সংবাদদাতা হিসেবে এসি সরফরাজের বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি এম ওবাইদুল্লাহর নাম রয়েছে। শনিবার বিকেলে এম ওবায়দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরফরাজের আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই।
×