ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণকাজ শীঘ্র শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণকাজ শীঘ্র শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সম্প্রতি পেট্রোবাংলার সঙ্গে টার্মিনাল ব্যবহার চুক্তি সই করেছে দেশের বিদ্যুত খাতের সব থেকে বড় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার দুপুরে সামিটের কাওরান বাজার কার্যালয়ে গ্রুপটির চেয়ারম্যান আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন এর মধ্যেই টার্মিনালের সম্ভাব্যতা জরিপের পাশাপাশি অন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির আদলেই এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। কাজ শেষ হতে এক বছর ছয় মাস সময় প্রয়োজন হবে। আগামী বছর এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গেই সামিটের এলএনজি টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। দেশের সরকারী এবং বেসরকারী কোম্পানির মধ্যে সামিটই প্রথম ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এর আগে সরকার মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি করেছে। ভবিষ্যত জ্বালানি নিশ্চিত করতে এলএনজি আমদানির কোন বিকল্প নেই। জ্বালানি সঙ্কটে বিদ্যুত উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার সঙ্গে সঙ্গে শিল্প জ্বালানির বড় সমাধান হতে পারে এলএনজি। সামিট বলছে এলএনজি টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা হবে এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে এলএনজি টার্মিনালটি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির রিগ্যাসিফিকেশনের (পুনঃগ্যাসে রূপান্তর) জন্য সামিটকে পেট্রোবাংলা পরিশোধ করবে ৪৭ সেন্ট। যা এক্সিলারেট এনার্জির তুলনায় এক সেন্ট কম। আজিজ খান বলেন, ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা বর্তমান সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ। অনেক দেশই এখনও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। সেখানে আমারা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছি। তিনি বলেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম অনেকটা কম। দেশে পৌঁছাতে প্রতি ইউনিট এলএনজির খরচ পড়বে ছয় থেকে সাত ডলার। এলএনজি আসলে আমাদের চট্টগ্রাম এলাকার বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো চালানো সম্ভব হবে।
×