ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে কি নাÑ ৭ মে বিসিসিআই’র বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত, আইসিসিকে চিঠি দেবে সম্প্রচারকারী চ্যানেল

ক্রিকেটের বাণিজ্য অচল, ভারত-আইসিসি দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

ক্রিকেটের বাণিজ্য অচল, ভারত-আইসিসি দ্বন্দ্ব চরমে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতকে বাড়তি আরও ১০ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের প্রভাবশালী দেশ তাতেও সাড়া দেয়নি। ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) কিছুটা যেন দ্বিধান্বিত। ২৫ এপ্রিল নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও নিজেদের চাওয়া মতো অর্থের দাবিতে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে এখনও দল ঘোষণা করেনি। ৭ মে বিসিসিআইর বিশেষ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওদিকে ‘ভারত ছাড়া ক্রিকেটের বাণিজ্য অচল’Ñ এমন যুক্তি দেখিয়ে শীঘ্রই আইসিসিকে চিঠি দিতে যাচ্ছে সংস্থাটির সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার ইন্ডিয়া। আর শেষ পর্যন্ত ভারত অংশ না নিলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী পাকিস্তান, দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে নবম দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। আগামী ৭ মে স্পেশাল জেনারেল মিটিং (এসজিএম) ডেকেছে বিসিসিআই। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি কি কারণে অর্থ কম পাবে ভারত সেটা নিয়ে আলোচনা করবে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিসিসিআইর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘আমরা এসজিএমে বসে দল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বর্জনের সিদ্ধান্ত আমাদের ঘরকেই ভেঙ্গে দিবে। সামান্য কারণের জন্য আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বর্জন করতে পারি না। এতে আমাদেরই ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতির অঙ্কটা দুই হাজার কোটি রুপীর মতো। যদি বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিদেশী বোর্ডগুলো আইপিএলে খেলোয়াড় পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায় তখন ক্ষতি আমাদের হবে। আইপিএলের দরজা তখন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পুরো ক্ষতি হবে বিসিসিআইয়ের।’ বিসিসিআইয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সেক্রেটারিকে এসজিএমে রাজি করানোর চেষ্টা করব। আশা করছি ইতিবাচক কোন ফল আসবে।’ ভারতকে নিয়ে চলতে থাকা টালবাহানার ব্যাপারে জানতে চেয়ে আইসিসিকে চিঠি দিতে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে চুক্তিবন্ধ সম্প্রচারকারী চ্যানেল। এতে করে আইসিসিও নতুন করে চাপে পড়েছে। কারণ টিভি স্বত্ব বিক্রি করেই সংস্থাটির কোষাগারে সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা হয়। আইসিসির অডিও-ভিজুয়াল স্বত্ব আবার স্টার ইন্ডিয়া ও স্টার মিডলইস্টের অধীনে। চুক্তি ২০২৩ পর্যন্ত। সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানতে চাইবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাত্র একমাস বাকি, ভারত খেলবে কি না সেটা পরিষ্কার করে জানাও। এর সঙ্গে বিরাট অঙ্কের বাণিজ্য জড়িত। ওদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান শাহরিয়ার বলেন, ‘আইসিসির বোর্ড সভায় বড় ব্যবধানে ভোটাভুটিতে হারার পর ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলি, ভারত যদি অংশ নাও নেয় তাদের ছাড়া বাকি সবগুলো দলই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা অন্য কোন দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যুক্ত করতে পারে আইসিসি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা ঠিক ভারতের অংশগ্রহণের ওপর আইসিসির আয় অনেকটা নির্ভর করে। তারা না খেললে বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই বলে সবকিছু তো আর বন্ধ থাকতে পারে না।’
×