ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবারও হার আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

আবারও হার আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে টানা তিন ম্যাচ জিতে টানা দুই ম্যাচ হারল আবাহনী। শনিবার পঞ্চম রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ২৫ রানে হেরেছে আবাহনী। এই ম্যাচে জয় পেয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নিল গাজী গ্রুপ। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবও টানা জিতেই চলেছে। পাকিস্তানী ক্রিকেটার রাফাতুল্লাহর সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট শিকার করা পেসার আল আমিন হোসেনের নৈপুণ্যে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬৬ রানে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল প্রাইম ব্যাংক। সেই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও থাকল দলটি। প্রাইম দোলেশ্বর ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ম্যাচটি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কলাবাগানকে ১ রানে হারিয়েছে দোলেশ্বর। বিকেএসপি তিন নম্বর মাঠে আবাহনী ধরাশায়ী হয়েছে। গত ম্যাচে শেখ জামালের কাছে হেরেছিল আবাহনী। এবার গাজী গ্রুপে কাত হয়েছে ধানমন্ডির দলটি। আগে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৮২ রান করে। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৯৭ ও ভারতের পারভেজ রসুল ৯১ রান করেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও কাজী অনিক ৩ উইকেট করে নেন। জবাবে ৪৮.১ ওভারে ২৫৭ রান করতেই গুটিয়ে যায় আবাহনীর ইনিংস। আফিফ হোসেন ধ্রুব অপরাজিত ৭৬ রান করে দলকে জেতানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যোগ্য সঙ্গী না মেলায় তা সম্ভব হয়নি। বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক-রূপগঞ্জের মধ্যকার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই দলেরই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নেই। ইংল্যান্ড সফরে গেছে তারা। তাতে দুই দলেরই প্রভাব পড়েছে। কিন্তু বাজিমাত করেছে প্রাইম ব্যাংক। আগে ব্যাট করে পাকিস্তানী ক্রিকেটার রাফাতুল্লাহর সেঞ্চুরিতে (১২৫ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৮ রান) ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৮৪ রান করে প্রাইম ব্যাংক। মোহাম্মদ শরীফ ৩ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আল আমিন হোসেনের (৫/৪৯) গতির সামনে টিকতে পারেননি রূপগঞ্জের ক্রিকেটাররা। নাঈম ইসলাম (৯৫) একাই এগিয়ে যান। কিন্তু যোগ্য সঙ্গী না মেলায় ৪৯.২ ওভারে ২১৮ রান করতেই ইনিংস গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জের। তাতে করে টানা ৫ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকল প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লায় আগে ব্যাট করে প্রাইম দোলেশ্বর। খুব বেশি রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি। স্পিনার সঞ্জিত সাহার (৪/২৮) ঘূর্ণির সামনে পড়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২০২ রান করে। শাহরিয়ার নাফীস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করতে পারেন। জবাব দিতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২০১ রান করতে গিয়ে অলআউট হয়ে যায় কলাবাগান। তাসামুল হক সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন। ফরহাদ রেজা ও শরিফুল্লাহ ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচটির শেষ ওভারে জিততে ৪ রানের দরকার ছিল। কলাবাগানের হাতে ছিল ১টি উইকেট। ফরহাদ রেজার প্রথম বলে ২ রান নেয়াও গেছে। ১ রান নিতে পারলে খেলা ড্র হবে। ২ রান নিলে জয় মিলবে। হাতে আছে আরও ৫ বল। কিন্তু রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান প্রথমবারের মতো লিস্ট এ ম্যাচ খেলতে নামা নাহিদ হাসান। তাতেই হারও হয় কলাবাগানের। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ-আবাহনী ম্যাচÑ বিকেএসপি-৩ গাজী গ্রুপ ইনিংস ২৮২/৯; ৫০ ওভার (বিজয় ৯৭, পারভেজ ৯১, নাদিফ ৪১; সাইফউদ্দিন ৩/৫৬)। আবাহনী ইনিংস ২৫৭/১০; ৪৮.১ ওভার (আফিফ ৭৬*, লিটন ৪২; আলাউদ্দিন ৩/৪৫)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ২৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ পারভেজ রসুল (গাজী গ্রুপ)। প্রাইম ব্যাংক-রূপগঞ্জ ম্যাচÑ বিকেএসপি-৪ প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ২৮৪/৬; ৫০ ওভার (রাফাতুল্লাহ ১২৮, আসিফ ৪৭; শরীফ ৩/৪২)। রূপগঞ্জ ইনিংস ২১৮/১০; ৪৯.২ ওভার (নাঈম ৯৫, মোশাররফ ৪২, শরীফ ৩৪; আল আমিন ৫/৪৯)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৬৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ রাফাতুল্লাহ (প্রাইম ব্যাংক)। দোলেশ্বর-কলাবাগান ম্যাচÑ ফতুল্লা দোলেশ্বর ইনিংস ২০২/৯; ৫০ ওভার (শাহরিয়ার ৩৯, জাকের ৩৮*, মার্শাল ৩১; সঞ্জিত ৪/২৮)। কলাবাগান ইনিংস ২০১/১০; ৪৯.২ ওভার (তাসামুল ৮৯, মেহরাব জুনিয়র ২৯; ফরহাদ ৩/৩২, শরিফুল্লাহ ৩/৩৬)। ফল ॥ প্রাইম দোলেশ্বর ১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শরিফুল্লাহ (দোলেশ্বর)।
×