ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

দিনাজপুরে বয়লার  বিস্ফোরণে মৃতের  সংখ্যা বেড়ে ১৬

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন আরও ৪ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৭টায় রঞ্জন রায় (৩০) মারা যান। মৃত শ্রমিক সদর উপজেলার সুইহারী এলাকার রবীন্দ্র রায়ের পুত্র। সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে ১৯ এপ্রিল বয়লার বিস্ফোরণে ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন। শনিবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা ও দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ জনের মৃত্যু হলো। এদিকে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাম রাজনৈতিক দলগুলো ভয়াবহ বয়লার দুর্ঘটনায় দোষী মিল মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানান। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন তিন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হওয়ায় একজনকে ২৩ এপ্রিল রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সারওয়ার জাহান জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন মিয়ার (৩৫) অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। ঢাকা পাঠানোর আগে সুমনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে দিনাজপুরে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণসহ দোষী মিল মালিককে গ্রেফতারের দাবিতে বামদলগুলোর সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাম রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে জাসদের জেলা সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী অভিযোগ করেন, শুক্রবার গোপালগঞ্জ হাটে চাতাল ও চালকল শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং মালিকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সমাবেশ চলাকালীন মিল মালিক সুবল ঘোষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী রিজু মেম্বার, জুয়েল, বাবু, নাদিমসহ ৮/১০ জন হামলা ও ভাংচুর চালায়। অবিলম্বে নিহত ও আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে দোষী মিল মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলা হয়, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে ও চরম খামখেয়ালীপনার জন্যই ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণে ১৬ জন শ্রমিককে জীবন দিতে হয়েছে। আরও ৬ জন শ্রমিক মৃত্যুপথযাত্রী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা সিপিবির সভাপতি এ্যাড. মেহেরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম শহীদুল্লাহ, বাসদ (মার্কসবাদী) সদস্য মনিরুজ্জামান, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য খন্দকার আশরাফুজ্জামান, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী সরকার, বাসদ নেতা সারওয়ারুল ইসলাম ক্লিপ্টন, জাসদ নেতা এ্যাড. ইন্দ্রজিৎ রায় অনীক, বাসদ (মাহবুব) নেতা হারুন উর রশিদ প্রমুখ।
×