স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নতুন একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেছিল। আর তা হচ্ছেÑ হেফাজতকে দিয়ে আগামী ৫ মে নতুন শাপলা চত্বর সৃষ্টির পরিকল্পনা। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলের রাজনীতির কাছে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তাই তাদের মনে বড় জ্বালা।
শনিবার সকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকার কওমী মাদ্রাসা সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি বা জোট করেনি। একটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকার মূল ধারায় নিয়ে এসেছে। মাদ্রাসার লাখ লাখ ছাত্র আছে। এদের কোন ঠিকানা নেই, ভবিষ্যত নেই, চাকরি পাওয়ার গ্যারান্টি নেই। সঙ্গত কারণে এদের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে মাত্র। স্বীকৃতি দেয়া আর জোট করা এক কথা নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৫ মে বিএনপির পরিকল্পনায় নতুন শাপলা চত্বর সৃষ্টির চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় এরা এখন আবোলতাবোল কথাবার্তা বলছে। হেফাজত নেতা মাওলানা শফী নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন, ইসলাম জঙ্গীবাদ সমর্থন করে না। আমাদের দেশে এখন প্রধান বিপদ ও শত্রু হচ্ছে জঙ্গীবাদ। করমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি সরকারীভাবে আসার পর তারাও এখন জঙ্গীবাদকে মোকাবেলার কথা বলছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দলটি ইস্যুর পর ইস্যু সৃষ্টি করছে আর মার খাচ্ছে। শেখ হাসিনার কৌশলের কাছে এবং রাজনীতির দাবা খেলায় বারবার হেরে যাচ্ছে। মিথ্যাচার চালিয়ে আগামীতেও এ দলটি কখনও জিততে পারবে না। বিএনপি এখন বলছে, সরকার নাকি হাওড়ে লুটপাট করেছে। আসলে তাদের মনে ভীষণ জ্বালা। ক্ষমতায় থাকলে হাওড়ে গিয়ে লুটপাটের আসর বসাতে পারত। না পেরে এখন ভারতবিরোধী ও মিথ্যাচারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। আমরা ভারতের বন্ধু। কিন্তু দেশের স্বার্থ অক্ষুণœ রেখে বন্ধুত্বের ধারাকে এগিয়ে নিচ্ছি। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না। হিলারি ক্লিনটনও পারবেন না। আমাদের ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের হাতে।
অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গেল বার নির্বাচনে আসেননি। সেটা আপনাদের ভুল ছিল। তাই রাজনীতির মাঠ থেকে অনেকদূরে চলে গেছেন। নিজেরা ভুল করে জনগণের ওপর দায় চাপিয়েছেন। আগুন সন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মেরেছেন। এবারও যদি নির্বাচনে না আসেন, আবারও যদি ভুল করেন এর দায়ভার আপনাদেরই বহন করতে হবে। এবার নির্বাচনে না এলে বিএনপির রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেনÑ গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক শামীম। সভায় তৃণমূল প্রতিনিধি থানা কমিটির আরও ১৫ নেতা বক্তব্য রাখেন।