ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের পেছনে ছুটছে মানুষ;###;গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট, বিক্রির হিড়িক;###;কাজের সন্ধানে শহরমুখী বানভাসিরা

তালিকায় সমস্যা ॥ প্রতি ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার দাবি হাওড়বাসীর

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

তালিকায় সমস্যা ॥ প্রতি ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার দাবি হাওড়বাসীর

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে দুর্গত নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলে ত্রাণের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় তালিকাভুক্ত হতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জনপ্রতিনিধিদের পেছনে বিরামহীন ছুটছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেকে তালিকাভুক্ত হতে পারছেন না। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। অর্থাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দুর্গত পরিবারগুলোতে ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করছে। হিড়িক উঠেছে গবাদিপশু বিক্রির। এদিকে কিশোরগঞ্জে ব্যাপক ফসলহানিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। তাদের দিন কাটছে নিদারুন কষ্টে। দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সমিতি। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। জানা গেছে, সাম্প্রতিক অকাল বন্যায় নেত্রকোনার অন্তত এক লাখ ৬৭ হাজার ১শ’ ৮০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ভূমিহীন, প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু সরকার ঘোষিত ১শ’ দিনের কর্মসূচীর আওতায় ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৫০ হাজার জনের জন্য। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও জনসংখ্যা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ভিজিএফের তালিকা করা হচ্ছে। কিন্তু অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তালিকা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান জানান, শনিবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নে ভিজিএফের খাদ্য বিতরণ শুরু হয়েছে। রবিবার বিভিন্ন উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ হবে। দু-তিনদিনের মধ্যে সব ইউনিয়নেই বিতরণ নিশ্চিত হবে। খালিয়াজুরি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান তালুকদার জোশেফ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ত্রাণের চাহিদা আছে অন্তত পাঁচ হাজার জনের। এর মধ্যে ভিজিএফ বরাদ্দ এসেছে মাত্র ১ হাজার ৬৯৫ জনের। এরা প্রত্যেকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ পাঁচশ টাকা করে অর্থ সহায়তা পাবেন। কিন্তু চাহিদার অনুপাতে অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে বেশিরভাগ মানুষই ত্রাণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোয়ায়েল আহমদ জানান, ওই উপজেলায় দুর্গত কৃষকের সংখ্যা ২৫ হাজারের ওপর। কিন্তু ভিজিডির ত্রাণ কর্মসূচীর আওতায় আসছেন মাত্র ১০ হাজার জন। চাহিদার তুলনায় এ বরাদ্দ খুব সামান্য বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি। মোহনগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, ওই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ২৩ হাজার আটশ জন। এর মধ্যে ভিজিএফের চাল পাবেন মাত্র ৮ হাজার ৫শ’ জন। একই অবস্থা মদন, কলমাকান্দাসহ অন্য উপজেলাগুলোতেও। এদিকে দুর্গত এলাকার খোলা বাজারে ওএমএসের কর্মসূচীর আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল এবং ১৭ টাকা কেজি করে আটা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। কারণ ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে। নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা প্রতিদিন ইউনিয়নের নির্দিষ্ট একটি স্থান থেকে চাল ও আটা বিক্রি করছেন। ফলে ডিলাররা যে গ্রামে বিক্রি করছেনÑ সে গ্রামের লোকেরাই ওএমএসের সুবিধা পাচ্ছেন বেশি। হাওড় এলাকার গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে দূর-দূরান্তের গ্রামের লোকজন ওএমএসের চাল বা আটা কিনতে পারছেন না। দৈনিক পাঁচ কেজি চাল আনতে গিয়ে তাদের পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে বেশি। এছাড়া যিনি চাল বা আটা কিনতে লাইন ধরছেনÑ তিনি ওইদিন অন্য কোন কাজে যেতে পারছেন না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ওএমএসের ডিলার ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হলে দুর্গত মানুষের দুর্দশা লাঘবে অনেক বেশি সহায়ক হবে। গবাদিপশু বিক্রির হিড়িক একদিকে অর্থাভাব এবং অন্যদিকে গো-খাদ্য সঙ্কটের কারণে দুর্গত এলাকায় গবাদিপশু বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। বাজারে পানির দরে গরু বিক্রি হচ্ছে। খাদ্যাভাব দূর এবং দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধ করতে অনেকে হালের গরু ও ছাগল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে ধানের খড় সংগ্রহ করতে না পারায় গো-খাদ্যেরও তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে এলাকায়। এ কারণেও অনেকে গবাদিপশু ধরে রাখতে পারছেন না। এ সুযোগে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা গবাদিপশু কেনার জন্য হাওড় এলাকার বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। তারা প্রতিদিন ট্র্রাক ভরে গরু কিনে অন্য জেলায় স্থানান্তর করছেন। ক্ষয়ক্ষতি জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক অকালবন্যায় জেলার দশ উপজেলার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩২০ হেক্টর বোরো জমির মধ্যে ৬৯ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিই তলিয়ে গেছে। এতে ৮৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬৯টি ইউনিয়নই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের ক্ষতি হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৭ মেট্রিক টন। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। কিশোরগঞ্জের হাওড়ে কৃষকের হাহাকার কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলে আগাম বন্যায় ব্যাপক ফসলহানিতে কৃষকেরা এখন দিশেহারা। হাওড় অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, করিমগঞ্জ, তাড়াইল ও ভৈরব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। নতুন করে কোন হাওড় এলাকা প্লাবিত না হলেও থামছে না ওইসব অঞ্চলের কৃষকের হাহাকার। তবে এরই মধ্যে হাওড়াঞ্চলের পর ইতোমধ্যে ডুবে গেছে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, কটিয়াদী ও বাজিতপুর উপজেলার অনেক উজান এলাকার ধান। অন্যদিকে গত দুইদিন আবহাওয়া কিছুটা ভাল হওয়ার পর হাওড়ের কৃষকরা পানির নিচ থেকে কেটে আনা আধাপাকা ধান শুকানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিপাতের ফলে এগুলোও পচে গেছে। অনেকের ধানে ইতোমধ্যে চারা গজিয়ে গেছে। আর তাই বাড়তি টাকা খরচ করে মাঠ থেকে কেটে আনা ধান কৃষকের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে বন্যায় একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে হাওড়াঞ্চলের অনেক কৃষক পরিবার এখন নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কটের। তাছাড়া অনেকের গো-খাদ্যের অভাবে গবাধিপশুও মারা গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হলেও চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে পুরো হাওড়াঞ্চলে কাজের কোন সুযোগ না থাকায় দেখা দিয়েছে ভাতের সঙ্কট। এ অবস্থায় হাওড় পাড়ের অনেকে নিজগ্রাম ও বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সব হারানো নিঃস্ব হাওড় পাড়ের এসব নারী-পুরুষেরা নতুন করে বেঁচে থাকার সংগ্রামে কাজের সন্ধানে শহরমুখী ছুটছেন। কিশোরগঞ্জ সমিতির ত্রাণ বিতরণ বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ সমিতি। শনিবার দিনব্যাপী সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ ইটনা, মিঠামইন, নিকলী, অষ্টগ্রাম ও তাড়াইল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে। এ সময় তারা সরেজমিন হাওড়াঞ্চল পরিদর্শন করে হাওড়বাসীর কষ্ট লাগবে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গণতন্ত্রী পার্টির হাওড় বিষয়ক সেমিনার হাওড়বাসীকে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষার করণীয় নির্ধারণ করতে কিশোরগঞ্জে গণতন্ত্রী পার্টির উদ্যোগে ‘হাওড় বিষয়ক সেমিনার’ হয়েছে। বিকেলে স্থানীয় আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সেমিনারে হাওড়ের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান। জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ শিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহামুদুর রহমান বাবু, বাকৃবির অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ প্রমুখ। সেমিনারে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- হাওড় বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হাওড়ের জেলা-উপজেলাগুলোকে নিয়ে আলাদা প্রশাসনিক বিভাগ গঠন, সমগ্র হাওড়ের জন্য ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, এডিপি ও বাজেটে হাওড়ের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান এবং উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। বক্তারা সুষ্ঠু উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলার প্রয়োজনে এসব দাবি বাস্তবায়ন জরুরী বলেও তারা মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং জেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোঃ আজিমুদ্দিন বিশ্বাস প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করে জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সাড়ে ৫শ’ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। হাওড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থেকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আরও এক লাখ কৃষককে এ কর্মসূচীর আওতায় আনতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, হাওড়ের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে ওএসমএস ডিলারের মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এনজিওর ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ফসল উঠার আগ পর্যন্ত হাওড়বাসীকে খাদ্য সহায়তা ও কৃষিতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ১৩টি সুপারিশ পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সুপারিশগুলো হলো হচ্ছে-জরুরী ত্রাণ সহায়তা হিসেবে পর্যাপ্ত চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া, বিশেষ ভিজিএফ/ভিজিডি কর্মসূচী চালু করা, ওএমএস চালু করা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয় কার্যক্রমে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, গৃহপালিত প্রাণীর জন্য বিনামূল্যে গো-খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ করা, আগামী বোরো মৌসুমের আগে কৃষি উপকরণ, সার, বীজ ও নগদ অর্থ সহায়তা করা, বিশেষ কাবিটা/কাবিখা কর্মসূচী চালু করা, কৃষি ঋণের সুদ মওকুফসহ আপৎকালীন ঋণ আদায় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, এনজিও ঋণ আদায় কার্যক্রম আপৎকালীন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইত্যাদি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, জেলার হাওড় অধ্যুষিত উপজেলাসমূহে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৭০টি বাঁধ রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ইতোমধ্যে প্রচ- পানির ঢেউয়ের কারণে ভেঙ্গে গেছে। এতে করে ওইসব এলাকার বোরো জমি পানিতে তলিয়ে গিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
×